গোবিন্দগঞ্জ(গাইবান্ধা)প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে শাশুড়ী ও শ্যালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়েরকৃত দুটি মামলায় জামাই রুহুল আমিনকে (২৬) গ্রেফতার করেছে র্যাব। গতকাল সোমবার গ্রেফতার রুহুল আমিনকে গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেওয়া হলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, উপজেলার তালুককানুপুর ইউনিয়নের সমসপাড়া গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ভিকটিম দ্বয় বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা(৩৭ ও ৩৮) দায়ের করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের রামপুরা গ্রামে রুহুল আমিন তার শ্বশুর বাড়িতে প্রায়ই যাতায়াত করতেন। এরই মাঝে শাশুড়ীর গোসলরত আপত্তিকর ছবি মোবাইল ফোনে ধারণ করে জামাই রুহুল আমিন। পরে ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে শাশুড়ীকে কু-প্রস্তাাব দেয় রুহুল আমিন। এতে শাশুড়ী রাজী না হওয়ায় রুহুল আমিন তাকে জোরপূর্বক গত ১৩ মার্চ থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করে।
অন্যদিকে, গাইবান্ধা শহরের পলাশপাড়ায় নিজ শ্যালিকার বাড়িতে গিয়েও ২০২০ সালে একই রকম ঘটনা ঘটিয়ে তাকে ধর্ষণ চেষ্টার ভিডিও মোবাইলে ধারন করে রুহুল আমিন। এরপর ওই শ্যালিকাকে কৌশলে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সমসপাড়ায় তার ফুফাতো বোনের বাড়িতে নিয়ে আবারো ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এ বিষয়ে গাইবান্ধা র্যাব-১৩ ক্যাম্পে অভিযোগ করা হয়।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব গত রোববার (২৫ জুলাই) রুহুল আমিনকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাখালি বালুয়া বাজারের মুক্তিযোদ্ধা ময়েজউদ্দিন সুপার মার্কেট থেকে গ্রেফতার করে। এসময় তার কাছ থেকে মোবাইলে ধারণকৃত অশ্লীল ভিডিও ও স্থিরচিত্রসহ মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোবিন্দগঞ্জ থানার এস আই আরিফুল ইসলাম জানান, আসামী রুহুল আমিনের পৃথক দুই মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে উপস্থিত করা হয়। এসময় আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ সহ রিমান্ড শুনানীর জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করে।