অনলাইন ডেস্ক:
প্রায় চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর নাটক ও সিনেমার নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার রাত পৌনে ১১টার দিকে চয়নিকা চৌধুরী মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ কার্যালয় থেকে ছাড়া পান। এর আগে সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে তাকে রাজধানীর পান্থপথ থেকে আটক করে ডিবি।
চয়নিকার স্বামী নির্মাতা অরুণ চৌধুরী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, চয়নিকা চৌধুরী ছাড়া পেয়ে বাসায় পৌঁছেছেন।
এর আগে রাত ১০টায় মিন্টো রোডের কার্যালয়ে ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, চয়নিকা চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছিল। তাকে রাতেই পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে শর্ত দেওয়া হবে, তদন্তের প্রয়োজনে যখনই ডাকা হবে, তিনি আসবেন।
সন্ধ্যায় একটি বেসরকারি টেলিভিশন কার্যালয় থেকে ফিরছিলেন চয়নিকা চৌধুরী। পান্থপথে তার গাড়ি আটকায় ডিবি পুলিশ। তারা জানায়, জিজ্ঞাবাসাদের জন্য তাকে ডিবি কার্যালয়ে যেতে হবে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি ও বাকবিতণ্ডার পর এক পর্যায়ে তিনি নিজের গাড়িতে নারী পুলিশ সদস্যকে ওঠার অনুমতি দেন। পরে ওই গাড়িতে ডিবির আরও কয়েকজন উঠে তাকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যান। এ সময় সেখানে উপস্থিত কয়েকজন টিভি সাংবাদিককে চয়নিকা চৌধুরী বলেন, ‘আমার তো এখন কিছু করার নেই। আমাকে কোথায় নিচ্ছে আমি জানি না। আপনারা দেখেন, কোনো অভিযোগ নেই, আমাকে নিয়ে যাচ্ছে।’
গত বুধবার রাতে রাজধানীর বারিধারা বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন পরীমনি। এর পর থেকেই আলোচনায় ছিলেন পরীমনির কথিত মম (মা) চয়নিকা চৌধুরী। তবে তিনি জানিয়েছিলেন, পরীমনির সঙ্গে শুধুই কাজের সম্পর্ক তার। আর কোনো সম্পর্ক নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেকোনো প্রয়োজনে ডাকলে তিনি যাবেন।
গত জুন মাসে ঢাকা বোট ক্লাবে পরীমনিকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগের ঘটনার সময় পাশে ছিলেন চয়নিকা। তাকে পরীমনি ‘মম’ (মা) বলে সম্বোধন করেন। চয়নিকাও বলেন, ‘পরীমনি ছোটবেলায় মা হারিয়েছে। ও আমাকে মম বলে ডাকে। আমিও ওকে মেয়ের মতো স্নেহ করি।’
এদিকে চয়নিকা চৌধুরীর পরপর ডিবি আটক করে চিত্রনায়িকা পরীমনির কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ করিম জিমিকে। তাকে ডিবি কার্যালয়ে এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সেরা টিভি/আকিব