স্টাফ রিপোর্টার:
দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্রের খোঁজ পেয়েছে রাষ্ট্রীয় সংস্থা বাপেক্স।
জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবসের সেমিনারে এ তথ্য জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। তিনি জানান, এখান থেকে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে, নিরবচ্ছিন্ন ভাবে গ্যাস তোলা যাবে।
দেশে ২৭টি গ্যাসক্ষেত্রে থেকে দিনে ২৩০ কোটি ঘনফুট করে গ্যাস তোলা হচ্ছে। আরো একশ কোটি ঘনফুট গ্যাস আমদানি হয়। তারপরও ঘাটতি থেকে যায় ৪০ কোটি ঘনফুট। তবে এখন তা কমে যাবে। কেননা, জকিগঞ্জে ২৮তম গ্যাসক্ষেত্রের খোঁজ পেয়েছে বাপেক্স।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, নতুন করে গ্যাস এক্সপ্লরেশনের বিষয়ে আজকে আমি বিশেষভাবে জানাতে চাই- জকিগঞ্জে আমরা ইতোমধ্যে প্রায় ৬৮ পিসিএফ (প্রতি বর্গ ইঞ্চি) গ্যাসের সন্ধ্যান আমরা পেয়েছি। প্রতিদিন প্রায় ১০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উত্তোলন করতে পারব। যেখান থেকে প্রায় ১২ থেকে ১৩ বছর পর্যন্ত গ্যাস উত্তোলন করতে পারব। যার মূল্য প্রায় এক হাজার ২৭৬ কোটি টাকা।
জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত সেমিনারে এর আগে মূল প্রবন্ধে জানানো হয়, দেশের মোট জ্বালানি চাহিদার ৮১ দশমিক ৬ শতাংশই স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়। শিল্পোন্নত অনেক দেশের চেয়ে বাংলাদেশের আমদানি নির্ভরতা কম। তবে ভবিষ্যতে বিদেশের জ্বালানির উপর নির্ভরতা বাড়লেও ভয়ের কিছু নেই।
কিন্তু এ কথায় খুব একটা আশ্বস্ত হতে পারেননি জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। তারা মনে করেন, নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধান, বিতরণ ব্যবস্থা আর আমদানি ব্যবস্থাপনায় এখনো অনেক ঘাটতি রয়েছে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শিল্পায়ন যত বাড়বে, তত গ্যাস-বিদ্যুতের চাহিদা বাড়বে। তাই এখন থেকেই চাহিদা মেটানোর কৌশল ঠিক করতে হবে। ১৯৭৫ সালের ৯ই আগস্ট ৫টি গ্যাসক্ষেত্র জাতীয়করণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই দূরদর্শী সিদ্ধান্তকে স্মরণ করে, ২০১০ সাল থেকে
সেরা টিভি/আকিব