স্টাফ রিপোর্টার:
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি’র রাজনীতি এখন লাইফ সাপোর্টে আছে। বিএনপি নেতারা একদিকে জনরোষের আতঙ্কে রয়েছেন, অপরদিকে হঠকারি রাজনীতির কারণে তারা তাদের কর্মী-সমর্থকদের আস্থা হারিয়েছে। গতকাল তার সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। বিএনপি জনগণের জন্য রাজনীতি করে না বলেই তাদেরকে প্রতিপক্ষ মনে করে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি’র অন্তঃসারশূন্য ও উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচারে সরকার কান দেয় না। কারণ, জনগণ এসব কথামালার চাতুর্য বিশ্বাস করে না। ‘সরকার ভেন্টিলেশনে আছে’ বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, চোখ থেকে ক্ষমতার রঙিন খোয়াবের চশমা খুলে নিজেদের পায়ের তলায় মাটি আছে কিনা তা আগে দেখুন। আপনারা তো মিডিয়ার কল্যাণেই বেঁচে আছেন। বিএনপি নেতাদের সম্মিলিত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা নেই।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, বিদেশ থেকে ইথারে যে সিদ্ধান্ত ভেসে আসে, তা ঢাকায় বসে মিডিয়ার মাধ্যমে বিএনপি নেতারা তারই পুনরাবৃত্তি করছেন মাত্র। ফরমায়েশ কার্যকর করছেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি’র রাজনীতি হচ্ছে খুনিদের তোষণ, দুর্নীতিবাজ আর সামপ্রদায়িক অপশক্তিকে পোষণ এবং অসহায় জনগণকে শোষণ। তাদের রাজনীতি ইতিহাস বিকৃত, মিথ্যাচার আর অপপ্রচারের রাজনীতি। ভ্যাকসিন নিয়ে বিএনপি নেতাদের অবিরাম মিথ্যাচার অর্থহীন অপপ্রচার ছাড়া আর কিছুই নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংকট সমাধানের সক্ষমতা দেখে বিএনপি ঈর্ষার আগুনে জ্বলছে। অন্তর্দহন কমাতে তারা এসব অপপ্রচার চালায়। তিনি বলেন, আন্দোলন ও নির্বাচনে ধারাবাহিক ব্যর্থতায় বিএনপি নেতাকর্মীরা যে গণহতাশায় ভুগছে, তা থেকে নিষ্কৃতি পেতে ভ্যাকসিন নিয়ে ঢালাওভাবে সরকারের সমালোচনা করছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্বাস্থ্যবিধির প্রতি চরম উপেক্ষা আত্মঘাতী বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। করোনার সংক্রমণ এখনো উচ্চমাত্রায় রয়েছে। তাই নিজের জীবনের সুরক্ষা নিজেকেই নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে জনস্বাস্থ্য ও জনস্বার্থের সুরক্ষায় আবারো কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করতে বাধ্য হবে সরকার।
সেরা টিভি/আকিব