স্টাফ রিপোর্টার:
অভিনেত্রী ও মডেল ফারিয়া শাহরিন ছোটবোনের বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ব্যাপক নোংরা মন্তব্যের শিকার হচ্ছেন। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি নিজেই এমনটা অভিযোগ করেছেন।
এই অভিনেত্রী ফেসবুকে লিখেছেন, মাঝেমাঝে মনে হয় মিডিয়ায় যদি না আসতাম তাহলে কি কারো সাহস হতো আমাকে গালি দেওয়ার? কোনো নষ্টামি, লুইচ্চামি না করেও দিন শেষে শুনতে হয় …(অকথ্য ভাষা) বিদেশ গেছোস, কত টাকা কামাইলি? কার ফ্ল্যাটে উঠলি, পার নাইট কত, মদ থাকলে সরায়ে ফেল, কার কার বিছানা গরম করলি?
ফারিয়া আরও জানান, অনেক সেলিব্রেটি হয়তো এসব ইগনোর করতে পারেন কিন্তু আমি পারি না। রক্ত উঠে যায় মাথায়। এই যে এতগুলো বছর ভালো থাকলাম, এতো অনেস্ট থাকলাম। কত মানুষ কত টাকার লোভ দেখাইলো নিজেকে তাও কন্ট্রোল করলাম। দিনশেষে কি পেলাম আমি, অকথ্য ভাষার একটা উপাধি। আর কিছু না, খুব কষ্ট হয়, কিছু মানুষের জন্য মানুষের এইভাবে কথা বলার সাহস হয়। ছোটবোনের কনভোকেশনের জন্য পাড়ি জমালাম যুক্তরাষ্ট্রে, এ নিয়েও নোংরা কথার শিকার হচ্ছি প্রতিনিয়ত।
চলমান চিত্রনায়িকা পরীমণি ইস্যুতে মুখ খুলেছিলেন ফারিয়া শাহরিন। এক সময় পরীমণি ও ফারিয়া শাহরিনের মধ্যে তুমুল দ্বন্দ্ব ছিল। মালয়েশিয়ায় পড়াশোনাকালীন পরীমণির সঙ্গে অনলাইন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। সেসব পুরনো কথা। পরীমণির সর্বশেষ জন্মদিনে সেসব রাগ অভিমানের অবসান হয়েছে। জন্মদিনে উপস্থিত ছিলেন ফারিয়া শাহরিন।
পরে অবশ্য দু’জনের মিটমাট হয়েছে আর দ্বন্দ্ব রেখে লাভ কি বলে মন্তব্য করেছিলেন গণমাধ্যমকর্মীদের নিকট। পরীমণির বিষয়ে এই অভিনেত্রী মুখ খুলেছেন। বলেছেন, বিয়ের পর জামাইও যদি বউকে জোর করে বউয়ের সম্মতি ছাড়া শারীরিক সম্পর্ক করতে চায় সেটাও ‘বৈবাহিক ধর্ষণ’ হিসেবে গণনা হয়। যখন আইনের শিক্ষার্থী ছিলাম তখন জেনেছি। তাই কারো সম্মতি ছাড়া তার গায়ে একটা টোকা দেওয়াও অন্যায়।
সেরা টিভি/আকিব