স্টাফ রিপোর্টার:
আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীর গুলশান থানার মাদক মামলায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (সিএমএম) ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডল তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. জাফর হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, হেলেনা জাহাঙ্গীর গুলশান থানার মাদক মামলায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সূত্র জানায়, গতকাল সকালের দিকে ৩ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় হেলেনা জাহাঙ্গীর স্বেচ্ছায় দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। পরে তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মণ্ডল তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
অপরদিকে ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিমের আদালতে হেলেনা জাহাঙ্গীরের আইনজীবী প্রতারণার মামলায় জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার আবেদন নামঞ্জুর করেন। এর আগে, গত মঙ্গলবার পল্লবী থানার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় হেলেনা জাহাঙ্গীরের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
হেলেনা জাহাঙ্গীর আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটিতে সদস্য ছিলেন। কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগেরও উপদেষ্টা পরিষদে ছিলেন তিনি। গত ৩০শে জুলাই রাত ৮টার দিকে হেলেনা জাহাঙ্গীরের গুলশানের বাসায় র্যাবের অভিযানের পর ৩১শে জুলাই রাত সোয়া ১২টায় তাকে আটক করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন ও টেলিযোগাযোগ আইনে রাজধানীর গুলশান ও পল্লবী থানায় পৃথক ৪টি মামলা হয়।
এ ছাড়া পল্লবী থানায় একজন সাংবাদিক বাদী হয়ে হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেন। এর মধ্যে তিনি টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় জামিন পেয়েছেন। হেলেনা জাহাঙ্গীর জয়যাত্রা গ্রুপের কর্ণধার। জয়যাত্রা টেলিভিশনের চেয়ারপারসন হেলেনা নিজেকে আইপি টিভি ওনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি হিসেবেও পরিচয় দেন। ‘বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামের একটি ‘ভুঁইফোঁড়’ সংগঠনের সভাপতি হওয়ার খবর চাউর হলে সম্প্রতি তাকে কমিটি থেকে বাদ দেয়া হয়।
সেরা টিভি/আকিব