স্টাফ রিপোর্টার:
আগামী অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা দীপু মনি। আজ শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সকালে গাজীপুরে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার পর আগামী অক্টোবরের মাঝামাঝি বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে। এ ছাড়া আগামী সপ্তাহে জাতীয় পরামর্শ কমিটির সভা আহ্বান করা হয়েছে, তাদের মতামত পেলে স্কুল খুলে দেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মন্ত্রী আরও বলেন, বিজ্ঞানসম্মতভাবে বলা হয়- শতকরা আক্রান্ত ৫ শতাংশের নিচে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া যায়। কিন্তু এমন পরিস্থিতি এখনো বাংলাদেশে হয়নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও শিক্ষক সমিতিসহ জাতীয় কমিটির সভা শেষে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
তিনি শুক্রবার সকালে গাজীপুরে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর জীবনীর উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এর আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শেখ রাসেল চত্বরে গাছের চারা রোপণ করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যৌথ বৈঠকে ১৫ অক্টোবরের পর বিশ্ববিদ্যালয় খোলা যাবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী ১৫ অক্টোবরের পর থেকে ধাপে ধাপে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা যাবে। তবে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের টিকা নেওয়ার বিষয়টি ছক আকারে ইউজিসিতে পাঠাতে হবে। যাদের টিকা কার্যক্রম শেষ হবে না তাদের বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেন তিনি।
এদিকে শিক্ষার্থীদের জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। যাদের এনআইডি নেই, গণটিকা চালুর আগে তাদের এনআইডি করে দ্রুত সময়ে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এটা না হলে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। একই বৈঠকে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বলবৎ থাকবে।
এদিকে দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার পর অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে খুলছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হল। তবে, আবাসিক হল খুললেও করোনা টিকা নেওয়া সাপেক্ষে শুরুতে হলে উঠবে স্নাতক (সম্মান) চতুর্থ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীরা। পরে বাকি শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের হলে থাকার অনুমতি দেওয়া হবে। মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সেরা টিভি/আকিব