স্পোর্টস ডেস্ক: অবশেষে পিএসজির জার্সিতে লিওনেল মেসির অভিষেক হয়ে গেল। স্বাভাবিকভাবেই পুরো ফুটবলবিশ্বের নজর ছিল এই ম্যাচের দিকে। কিন্তু স্কোয়াডে থাকলেও শুরুর একাদশে ছিলেন না তিনি। পরে নেইমারের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন তিনি। ম্যাচটি জিতেও যায় প্যারিসিয়ানরা। তবে জোড়া গোল করে ম্যাচের আসল নায়ক কিন্তু কিলিয়ান এমবাপ্পে। রোববার দিনগত রাতে লিগ ওয়ানের ম্যাচে রেইমসের মাঠ থেকে ২-০ গোলে জয় নিয়ে ফিরেছে পিএসজি।
বার্সেলোনা ছাড়া এই প্রথম অন্য কোনো ক্লাবের হয়ে মাঠে নামলেন মেসি। তাও পিএসজিতে যোগ দেওয়ার পর দুই সপ্তাহ কেটে যাওয়ার পর। স্মরণীয় এই ম্যাচটি উপভোগ করতে রেইমসের ঘরের মাঠ ছিল কানায় পূর্ণ। অবশ্য মেসির সম্ভাব্য অভিষেকের কথা শুনে আগেই সব অগ্রিম টিকিট শেষ হয়ে গিয়েছিল। তবে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডকে স্কোয়াডে রাখলেও একাদশে রাখেননি পিএসজি কোচ মাওরিসিও পচেত্তিনো।
প্রথমার্ধেও বেঞ্চেই কাটে মেসির। তবে ম্যাচের ৬৬তম মিনিটে নেইমারের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। তবে এর আগেই ম্যাচের আলো কেঁড়ে নেন এমবাপ্পে। তার রিয়াল মাদ্রিদ-সংযোগ নিয়ে নানান গুঞ্জন শোনা গেলেও তাকে ঠিকই একাদশে নামান পচেত্তিনো। আর ১৬তম মিনিটেই লক্ষ্যভেদ করেন এই ফরাসি ফরোয়ার্ড। আনহেল দি মারিয়ার বক্সে বাড়ানো ক্রসে দারুণ এক হেডে গোল করেন তিনি।
নেইমার-এমবাপ্পে-দি মারিয়াদের মুহুর্মুহু আক্রমণে দিশেহারা রেইমস ৫১তম মিনিটে সমতায় ফিরেছিল। কিন্তু ভিএআর দেখে অফসাইডের সিদ্ধান্তে গোলটি বাতিল করে দেন রেফারি। এরপর ৬৩তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ান এমবাপ্পে। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ডান উইং ধরে রেইমসের ব্যাক পোস্টে থাকা ফরাসি ফরোয়ার্ডকে খুঁজে নেন আশরাফ হাকিমি। একদম কাছ থেকে অনায়াসেই বল জালে জড়িয়ে দেন এমবাপ্পে।
এমবাপ্পের জোড়া গোল পূর্ণ করার মিনিট দুয়েক পরেই আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। দর্শকদের তুমুল করতালি আর হর্ষধ্বনির মাধ্যমে আগমন ঘটে মেসির। তাকে জায়গা দিতে উঠে যান তার বন্ধু ও সাবেক বার্সা সতীর্থ নেইমার। তবে নতুন ক্লাবে অভিষেক ম্যাচে এত কম সময় মাঠে কাটিয়ে খুব বেশি কিছু করা হয়নি তার। তবে দল টানা চতুর্থ জয় পেয়েছে, এটাও বা কম কিসে! অন্তত ‘অভিষেক’ ম্যাচটা জয় দিয়ে উদযাপন করলেন আধুনিক ফুটবলের সবচেয়ে বড় তারকা।
এই নিয়ে মৌসুমের প্রথম চার ম্যাচের সবগুলোতেই জয় পাওয়া পিএসজি ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে গেল। সমান ম্যাচে ২ পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে নেমে গেছে অ্যাঞ্জার্স।
সেরা টিভি/আকিব