স্টাফ রিপোর্টার:
গ্রাহকদের সহযোগিতা চেয়ে ফের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল। তিনি বলেছেন, আমরা কোনো আর্থিক দুর্নীতি করিনি।
আমাদের ঘাটতি হয়েছে পণ্যে ডিসকাউন্ট দিয়ে ই-কমার্সের প্রতি মানুষকে আকর্ষণ তৈরি করার জন্য। হয়ত আমাদের কোনো ব্যবসায়িক ভুল থাকতে পারে। কিন্তু এই ব্যবসায়িক ভুল সঠিক ব্যবসায়িক পদ্ধতি দিয়ে আমরা সমাধান করব। আমি শুধু ৬ মাস সময় চেয়েছি। আর বাকি ৫ মাস।
বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্টে এসব কথা বলেন রাসেল। ইভ্যালির অফিসিয়াল ফেসবুক গ্রুপের কথা উল্লেখ করে আরেকটু সময় দিতে গ্রাহকসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে রাসেল বলেন, এই গ্রুপ থেকে জানতে পারবেন আমাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম।
স্বীকার করছি, এটা সন্তোষজনক নয়। কিন্তু বিশ্বাস করুন, আমরা শুধুমাত্র আপনাদের সহযোগিতা পেলে এই ই-কমার্স বিজনেস থেকেই ইভ্যালি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। আমাদের এখানে হয়তো আপনার অর্ডার নাই। আমরা অনেকের ডেলিভারি দিতে পারছি না দেখে হয়তো আপনি নেতিবাচক মন্তব্য করছেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, আমাদের সকল ট্রানজেকশন ব্যাংকিং চ্যানেলই করেছি। আমরা কোনও অর্থনৈতিক দুর্নীতি করেনি। আমাদের ঘাটতি হয়েছে পণ্যে ডিসকাউন্ট দিয়ে ই-কমার্সের প্রতি মানুষকে আকর্ষণ তৈরি করার জন্য।
হয়তো আমাদের কোনও ব্যবসায়িক ভুল থাকতে পারে। কিন্তু এই ব্যবসায়িক ভুল সঠিক ব্যবসায়িক পদ্ধতি দিয়ে আমরা সমাধান করব। ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে রাসেল বলেন, আমি শুধুই ৬ মাস সময় চেয়েছি। আর বাকি ৫ মাস।
এই গ্রুপ থেকে দেখুন, হয়তো আপনার অর্ডারটি বিলম্বিত হচ্ছে। আমরা প্রতিদিন নতুন পুরাতন ডেলিভারি দিয়ে যাচ্ছি। আমি জানি এই দেশ বিশাল পরিসরে ই-কমার্স বিস্তার লাভ করবে। এই স্বপ্ন থেকেই আমার সমস্ত কার্যক্রম। আমি আছি, আমরা আছি।
তিনি বলেন, শুধু একটা অনুরোধ, আপনি যদি ইভ্যালির নিকট কোনও পণ্য বা টাকা পাওনা না থাকেন, তাহলে নেতিবাচক মন্তব্য এই কিছুদিন না করুন। বর্তমান বিজনেস দিয়ে যদি এই পেন্ডিং ডেলিভারি কমাতে পারি, অন্তত প্রতিদিন কিছু মানুষ তো পণ্য পাবেন।
দিন শেষে কারও ভালো কামনা করা একটি মহৎ গুন। এই ভালো কামনা ফলাফল পাবেন আমাদের কাস্টমার এবং আমাদের সেলার, যারা দুশ্চিন্তার মধ্যে সময় পার করছেন।
এদিকে গত ১৯ আগস্ট বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে সম্পদ ও দায়ের হিসাব দেয় ইভ্যালি। সেখানে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তার নিজের ব্র্যান্ড মূল্য ৪২৩ কোটি টাকা। গত ১৫ জুলাই পর্যন্ত তাদের মোট দায় ৫৪৪ কোটি টাকা।
এর মধ্যে এক কোটি টাকা শেয়ারহোল্ডার হিসেবে কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল কোম্পানিকে দিয়েছেন। বাকি ৫৪৩ কোটি টাকা হচ্ছে কোম্পানিটির চলতি দায়।
সেরা টিভি/আকিব