স্টাফ রিপোর্টার:
সরকার ইতিহাস বিকৃত করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন। বিএনপির ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপির ইতিহাস হচ্ছে এই দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস, এই ৪৩ বছরের ইতিহাস হচ্ছে এই দেশের গণতন্ত্রের ইতিহাস। বিএনপির ইতিহাস হচ্ছে এই দেশকে, এই জাতিকে একটা অস্তিত্ব প্রদানের ইতিহাস। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। সেই ঘোষণার মধ্য দিয়ে তিনি আমাদেরকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন, যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে ১৯৭৫ সালে যখন সিপাহী জনতার বিপ্লবের পর ৭ নভেম্বর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেন।
তখন তিনি আমাদেরকে আবার নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বন্ধুরা সারাক্ষণ বিএনপির বিরুদ্ধে বিষোদগার করে। জিয়াউর রহমানকে খাটো করার চেষ্টা করে, বেগম খালেদা জিয়াকে খাটো করার চেষ্টা করে এবং আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে খাটো করার চেষ্টা করে। কিন্তু তারা যদি একবার নিজেকে প্রশ্ন করে তাদের অবদান কী? তাদের অবদান হচ্ছে ভারতে গিয়ে পালিয়ে থেকে নেতা সাজা। পরে দেশে ফিরে এসে এটা বলা যে, এই দেশটা তারাই স্বাধীন করেছে। তাদের অবদান সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে এক দলীয় শাসন বাকশাল কায়েম করা। আজকে যা শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। কেন শুরু করেছে? তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চায়, প্রকৃত ইতিহাস থেকে জনগণকে দূরে সরিয়ে দিতে চায়। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হবে না।
তিনি আরও বলেন, যিনি আজকে গৃহান্তরীণ হয়ে আছেন, যাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে আটক করে রাখা হয়েছে, সেই বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ ৯ বছর এরশাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে দেশকে মুক্ত করেছিলেন, গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান যখন শাহদাৎ বরণ করেন, তখন এক শ্রেণির লোক মনে করেছিল বিএনপি ধ্বংস হয়ে গেছে। বিএনপি জেগে উঠবে না। কিন্তু বিএনপি ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠেছে। সুতরাং বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে সত্যকে মিথ্যা প্রমাণের চেষ্টা করে কোনো লাভ হবে না।
সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সসহ অন্যরা। সভা পরিচালনা করেন দলটির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও সহ প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলীম।