স্টাফ রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে একটি রাজনৈতিক ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে বিআইডব্লিউটিএর ওপর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন সরকারদলের স্থানীয় নেতারা। শীতলক্ষ্যা নদীর বন্দর অংশে ওই ব্যানার অপসারণের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে এ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে তুমুল আলোচনা সমালোচনা। শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ, ব্যানারটি না ভেঙে খুলে নেওয়ার সময় দিতে বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ ওই ব্যানারটি ভেকু দিয়ে ভেঙে দেয়।
যদিও বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের দাবি, সরকারি নিয়মানুযায়ী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের অংশ হিসেবেই সব ভাঙা হয়েছে।
জানা যায়, শনিবার সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শীতলক্ষ্যা নদীর বন্দর ও শহরের কয়েকটি এলাকায় ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ। দুপুরের দিকে উচ্ছেদকারী দল বন্দরের ১ নম্বর খেয়া ঘাটে উচ্ছেদ করতে গিয়ে সেখানে একটি রাজনৈতিক ব্যানার অপসারণের সময় স্থানীয় নেতাকর্মীরা প্রথমে বাধা দেন। পরে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ ব্যানারটি ভেকু দিয়ে ভেঙে ফেলে।
এ বিষয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ূন কবির মৃধা বলেন, একটি ব্যানার নিশ্চয়ই নদী দখল করে ফেলেনি। তারপরও যেহেতু নদীর জায়গায় ব্যানার ছিল তাই কর্মীরা অনুরোধ করেছিল, সেটি সরিয়ে নেওয়ার সময় দিতে।
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন জানান, নদীর পাড়ের সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করার জন্যই কর্মকর্তারা উচ্ছেদ অভিযানে গিয়েছিলেন। কিন্তু তার মানে এই না যে বঙ্গবন্ধু-প্রধানমন্ত্রী এবং আমাদের স্থানীয় দুই এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের ছবি সম্বলিত ব্যানার ভেঙেই করতে হবে।
বিআইডব্লিউটিএর নারায়ণগঞ্জের উপপরিচালক মাসুদ কামাল জানান, উচ্ছেদ কার্যক্রম হয়েছে আইন অনুযায়ী ও ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে। ব্যানার ভাঙার বিষয়টি নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করা হচ্ছে। মূলত বন্দর ঘাটের অবৈধ দখলদাররা বিষয়টি নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার করছে। এগুলো সাজানো নাটক।
সেরা টিভি/আকিব