স্টাফ রিপোর্টার:
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দেয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জাফরুল্লাহ সাহেবের বয়স হয়ে গেছে। তিনি অত্যন্ত সম্মানিত লোক, জ্ঞানী-গুণী লোক। কিন্তু বয়স হয়ে গেলে মানুষ কিছু উল্টাপাল্টা কথা বলতেই পারেন।
তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পদে তারেক রহমানকে দায়িত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পর্কে তা মন্তব্যটা যুক্তিসংগত না। তিনি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন, কথা বলছেন। কিন্তু তিনি একবারও ভাবছেন না, এসব কথা বললে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন কিছুটা ব্যাহত হবে।
সোমবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও শহরের তাঁতিপাড়ায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ অনুরোধ করেন। সাংগঠনিক সফরে তিনি ঠাকুরগাঁওয়ে রয়েছেন।
এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান,সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. কায়েস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমি তাকে (ডা. জাফরুল্লাহ) অনুরোধ জানাব, যে সমস্ত কথায় জনগণ বিভ্রান্ত হয় সেসব কথা যেন তিনি না বলেন। তারেক রহমানই হচ্ছে বিএনপির নেতা। তারেক রহমানই আমাদের সুসংগঠিত করছেন। পুরো দল তার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন সময় চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে গেছে। যখন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বরণ করেন তখন অনেকেই বলেছেন বিএনপি ধ্বংস হয়ে গেছে। কিন্তু বিএনপি ধ্বংস হয়নি। বিএনপি আবার খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আবার জেগে উঠেছে। গত ১২ বছর ধরে শুধু বিএনপি নয়, গোটা দেশে একটা বড় রাজনৈতিক সংকট-অস্তিত্বের সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি একটা বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে সংকটের সামনে আছে। এ সময়ে আমাদের দলের বড় যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তা হলো দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে রাখা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশের বাইরে নির্বাসিত করা হয়েছে।
সেরা টিভি/আকিব