স্কুল খোলার খবরে ইউনিফর্ম বানানোর হিড়িক - Shera TV
  1. [email protected] : sheraint :
  2. [email protected] : theophil :
স্কুল খোলার খবরে ইউনিফর্ম বানানোর হিড়িক - Shera TV
শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫, ০৯:৫০ পূর্বাহ্ন

স্কুল খোলার খবরে ইউনিফর্ম বানানোর হিড়িক

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার:

করোনার কারণে দেড় বছরের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর আগামী (১২ সেপ্টেম্বর) থেকে খুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এত দিন পরে শিক্ষার্থীদের শারীরিক পরিবর্তনের কারণে নির্ধারিত ইউনিফর্ম আর গায়ে লাগছে না। এতে নতুন ইউনিফর্ম বানানোর হিড়িক পড়েছে দর্জি পাড়ায়। দীর্ঘদিন পরে আবারও ব্যস্ততা ফিরেছে দর্জি দোকানগুলোতে।

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার বিভিন্ন এলাকার দর্জি দোকানগুলোয় সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ইউনিফর্ম বানাতে বাবা-মায়ের সঙ্গে টেইলার্সে এসেছেন।

সরকারি আলিমুদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রেণির ছাত্র তাসনিমুল হাসান এর ড্রেসের মাপ নিতে দেখা যায়। কথা হলে তাসনিমুল হাসান বলেন, ‘আমার ড্রেস ছোট হয়ে গেছে। এখন হঠাৎ করে স্কুল খুলে দেওয়ায় মায়ের সঙ্গে নতুন ড্রেস বানাতে আসছি।’

রেমন্ড টেইলার্সের মালিক নায়ারন রায় বলেন, ‘১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল কলেজ খুলছে সরকার। এতে স্কুল ড্রেসের অর্ডার আসতে শুরু হয়েছে। গত ৪ দিনে ২২-২৩ টার মত অর্ডার আসছে। বর্তমানে স্কুল ড্রেস তৈরি নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। স্কুল খুললে সামনে আরও অর্ডার বাড়বে।’

কাপড়ের পাইকারি দোকানগুলোতেও ভিড় বেড়েছে। পৌরসভার সাগর বস্ত্রালয়ে গিয়ে দেখা যায়, অভিভাবকরা স্কুল ড্রেসের কাপড় কিনছেন। এমনই এক অভিভাবক উম্মে হাবিবা বলেন, ‘আমার মেয়ে রাণীশংকৈল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেণিতে পড়ে। দীর্ঘ দিন স্কুল বন্ধ থাকার কারণে ওর ড্রেস ছোট হয়ে গেছে। তাই মেয়ের জন্য ড্রেসের কাপড় কিনতে এসেছি। সাগর বস্ত্রালয়ের মালিক জানান, গত কয়েক দিন ধরে বিক্রি বাড়ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে আরও বাড়বে। শুধু শহরের অভিভাবকই না, গ্রামের দর্জিরাও কাপড় কিনছেন বলে জানান তিনি।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৩য় শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণির ছেলেদের স্কুল ড্রেস (প্যান্ট ও সার্ট) বানানোর মজুরি রাখা হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা। ৩য় শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণির মেয়েদের স্কুল ড্রেস (থ্রি পিচ) বানানোর মজুরি রাখা হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪৫০টাকা।

এদিকে স্কুল কলেজ খোলার কারণে উপজেলার দর্জিরা ড্রেসের সঙ্গে রং মিলিয়ে সুতা, বোতাম কেনাও শুরু করেছে। ফলে বেচা কেনা বাড়ছে সুতা বোতাম ও লেস ফিতার দোকানেও।

রাণীশংকৈল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহেল রানা বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল খোলার সকল প্রস্তুতি আমাদের সম্পন্ন হয়েছে। অনেক ছাত্রছাত্রীদের ইউনিফর্ম ছোট হয়ে গেছে, তাদের ইউনিফর্ম তৈরি করে নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

সেরা টিভি/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360