অনলাইন ডেস্ক:
সব শর্ত বহাল রেখে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিমান সংস্থাগুলো বাংলাদেশ থেকে আমিরাতগামী ফ্লাইট পুনরায় চালু করার ঘোষণা দিয়েছে। রোববার থেকেই স্বাভাবিকভাবে ফ্লাইট পরিচালনা করতে চায় তারা। দেশটির বিমান সংস্থা ইত্তেহাদ জানায়, ছয় মাসের অধিক সময় বাংলাদেশে আটকে থাকা প্রবাসীরাও এই ফ্লাইটে আবুধাবি ফিরতে পারবেন।
আমিরাতের ইমার্জেন্সি ক্রাইসিস অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি শনিবার এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশে আটকে থাকা প্রবাসীরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত করোনার টিকার সম্পূর্ণ ডোজ গ্রহণ করা থাকলে আমিরাত ফিরে আসতে পারবেন। তবে দেশে অবস্থানের মেয়াদকাল ছয় মাসের অধিক হলেও ভিসার বৈধতা নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য আবুধাবিতে প্রত্যাবর্তনকারীদের ফেডারেল অথরিটি অব আইডেন্টিটি অ্যান্ড সিটিজেনশিপের (আইসিএ) অনুমোদন নিতে হবে। আর দুবাইয়ের ক্ষেত্রে জিডিআরএফএ অনুমোদন নিতে হবে। যাত্রীদের অবশ্যই টিকা গ্রহণের প্রমাণপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। বিবৃতিতে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপালসহ ১৫টি দেশের নাগরিকদের জন্য একই আইন কার্যকর বলে উল্লেখ করা হয়।
এতে আরও জানানো হয়, অনুমোদিত ল্যাব থেকে ৪৮ ঘণ্টা মেয়াদের কভিড পিসিআর টেস্টের নেগেটিভ রেজাল্ট ও তার কিউআর কোড নিতে হবে। এটা বিমানবন্দরে প্রবেশের সময় দেখাতে হবে। এ ছাড়া সব যাত্রীকেই বোর্ডিং করার আগে একটি র্যাপিড পিসিআর টেস্ট করতে হবে। আমিরাত পৌঁছার পর তাদের আরেকটি পিসিআর টেস্ট এবং চর্তুথ ও অষ্টম দিনে আরও দুটি কভিড টেস্ট করতে হবে। ১৬ বছরের নিচের শিশুদের জন্য এই বাধ্যবাধকতা থাকবে না।
এ দিকে আমিরাত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিলেও বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোতে র্যাপিড টেস্ট ল্যাব স্থাপন না হওয়ায় আটকে পড়া প্রবাসীদের কর্মস্থলে ফেরার বিষয়টি এখনও ঝুলে আছে। আটকে পড়া একাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি সমকালকে জানান, দ্রুত সময়ে কর্মস্থলে না ফিরতে পারলে বেশকিছু জটিলতার মুখোমুখি হতে হবে তাদের। কর্মীদের ভিসা ও পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার মতো জটিলতা বাড়বে। এমনকি অনেকের ভিসা বাতিল হওয়ারও আশঙ্কা করছেন তারা।
সেরা টিভি/আকিব