মাস্ক পরা, তাপমাত্রা মাপাসহ সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করেই চট্টগ্রামে খুলেছে স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। রাজশাহী জেলার ৫শ ৪৭ টি মাধ্যমিক ও ৯শ ৯৯ টি প্রাথমিক স্কুলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাসে ফিরে আনন্দিত শিক্ষার্থীরা।
রংপুরের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফটকের সামনেই অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের জটলা থাকায় উপেক্ষিত ছিল স্বাস্থ্যবিধি। তবে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস হয়েছে। দীর্ঘদিন পরে বিদ্যালয়ে আসতে পেরে উচ্ছ্বসিত খুলনার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে অভিভাববকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সচেতন থাকার আহ্বান জানান শিক্ষকরা।
নরসিংদীতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানগুলো। সকাল থেকে নরসিংদীর ১ হাজার ১৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই শিক্ষার্থীদের উৎসবমুখর আগমন লক্ষ করা গেছে। দেড় বছরের বেশি সময় পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিতি প্রাণবন্ত করেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিরাপদে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নানামুখী তৎপরতাও লক্ষ করা গেছে। শিক্ষার্থীদের ফুল, চকলেট দিয়ে বরণের পাশাপাশি শারীরিক তাপমাত্রা মেপে মাস্ক, স্যনিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করণসহ নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।
নরসিংদী জেলায় সরকারী-বে-সরকারী ৫৭টি কলেজ, ৩২০ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ৭৭৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। করোনা সংক্রমণের বিষয়টি মাথায় রেখে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা মেনে কার্যক্রম পরিচালনার ফলে শ্রেণী কক্ষে পাঠদান কার্যক্রম গতি ফিরিয়ে আনবে বলে প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
নাটরে প্রতিটি স্কুলে ব্যবস্থা করা হয়েছে হাত ধোয়া ও তাপমান যন্ত্র দিয়ে শিক্ষার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রত্যেকেই মাস্ক পরিধান কওে ক্লাশে প্রবেশ করেছে।
শিক্ষাথীরা জানায়, প্রায় দেড় বছর স্কুলের সংস্পর্শ ছাড়াই তাদের এক ঘেঁয়ে জীবন অতিবাহিত করতে হয়েছে। যদিও পওে তারা অন লাইনে ক্লাশ করেছে। তবুও শিক্ষকদের ও স্কুলের সরাসরি সংস্পর্শে না আসায় তাদেও লেখাপড়ায় ব্যাঘাত ঘটেছে। এখন স্বাস্থ্যবিধি মেন সরাসরি স্কুলের শিক্ষকদের কাছে পাঠ নিতে পেরে তারা আনন্দিত। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা পুরোপুরি মেনে চলতে পারলে তাদের কোন সমস্যা হবে না বলে তারা আশা প্রকাশ করে।
অভিভাবকরা জানান, দীর্ঘদিন পওে আজ স্কুলে আসতে পেরে তাদের সন্তানরা আনন্দিত। স্কুলে শিক্ষকদের নির্দেশনা ছাড়া শিক্ষার্থীরা লোখাপড়া করতে চায় না। তবে যেহেতু এখনও করোনা পরিস্থিতি তত ভাল হয়নি তাই তার কিছুটা হলেও শঙ্কিত।
শিক্ষকরা জানান, শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সকল নির্দেশনা মেনে স্বাস্থ্যবিধি আজ থেকে স্কুলে ক্লাশ শুরু করা হয়েছে। দীর্ঘদিন পরে স্কুল খুলতে পেরে তারাও আনন্দিত।
সিলেটে নানা আনুষ্ঠানিকতায় উৎসব আমেজে শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। এছাড়া, ময়মনসিংহ, বগুড়া, মানিকগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে ঢোকার আগে হাত ধোয়ার জন্য রাখা হয় সাবান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার। শ্রেণিকক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এক বেঞ্চ ফাঁকা রেখে বসানো হয় শিক্ষার্থীদের।
সেরা টিভি/আকিব