স্টাফ রিপোর্টার:
শ্লীলতাহানির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস।
চিত্তরঞ্জন দাসের চারিত্রিক এবং নৈতিক স্খলন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এলাকাবাসী। আর ভুক্তভোগী জানান, এলাকায় দোকান সংস্কারের অনুমতি নিতে গিয়েই শ্লীলতাহানির শিকার তিনি।
গেলো বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানী দক্ষিনের ৫ নম্বর ওয়ার্ড রাজারবাগ এলাকায় কাউন্সিলরের কার্যালয়ে যান এক নারী। সঙ্গে তার স্বামীও ছিলেন। উদ্দেশ্য ছিলো একটি দোকান সংস্কারের চাঁদার টাকা কমানো।
এসময় পাশের রুমে বসতে বলেন কাউন্সিলর। কিছুক্ষণ পর ভুক্তভোগী নারীকে জড়িয়ে ধরেন চিত্তরঞ্জন। ঘটনাটির পরপরই সবুজবাগ থানায় মামলা করেন সেই নারী। ভুক্তভোগী নারী বলেন,’ভিডিও ওপেন করে রেখেছিলাম একটি দোকানের চাঁদার জন্য কাউন্সিলর টাকা নিচ্ছেন সে জন্য। কিন্তু আমার সাথে যে এ ঘটনা ঘটে যাবে সেটা বুঝিনি।’
এরকম বিভিন্ন অনিয়মের ঘটনায় অতীষ্ট এলাকাবাসী। কাউন্সিলরের নৈরাজ্য নিয়ে ক্ষোভ জানান তারা। তারা আরও বলেন,’কিছু কিছু ঘটনা শোনা গেছে কিন্তু মানুষ বিশ্বাস করে নাই। এখন হাতেনাতে প্রমাণ পাওয়া গেল। মিডিয়াতে আসছে সবকিছু। আওয়ামী লীগের পরিবার থেকে এমন একটা কাজ হলো এটা কেউ আশা করিনি। আগে সে বিএনপি করতো। কিভাবে সে আওয়ামী লীগে আসলো বুঝলাম না। পুরো এলাকা তার নিয়ন্ত্রণে। এলাকার মাদক ব্যবসা, চুরি, ছিনতাই সবই তার কাছে।’
শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা হওয়ার পর কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন পলাতক রয়েছেন বলে দাবি সবুজবাগ থানা পুলিশের। ডিএমপি সবুজবাগ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোরাদুল ইসলাম বলেন,’মামলা রুজু হবার পর থেকেই আমরা আসামিকে গ্রেপ্তারে সম্ভব্য সকল স্থানে অভিযান পরিচালনা করেছি। অভিযান অব্যাহত আছে। মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান।’
তবে দুপুরে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন চিত্তরঞ্জন দাস।
সেরা টিভি/আকিব