আমি ওই নারীর সঙ্গে নাটকের রিহার্সেল করেছি - চিত্ত রঞ্জন দাস - Shera TV
  1. [email protected] : sheraint :
  2. [email protected] : theophil :
আমি ওই নারীর সঙ্গে নাটকের রিহার্সেল করেছি - চিত্ত রঞ্জন দাস - Shera TV
বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ০৭:২৭ অপরাহ্ন

আমি ওই নারীর সঙ্গে নাটকের রিহার্সেল করেছি – চিত্ত রঞ্জন দাস

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১

অনলাইন  ডেস্ক:

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন চিত্ত রঞ্জন দাসের আপত্তিকর একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর তিনি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন।

এদিকে ভুক্তভোগী ওই নারী থানায় চিত্ত রঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করেছেন। সোমবার ওই মামলায় জামিন পাওয়ার পর চিত্তরঞ্জন দাস এ বিষয়ে একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

এতে তিনি ওই ভিডিও ভাইরালের পেছনে সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশ্রাফুজ্জামান ফরিদকে দায়ী করেন। যারা ফেসবুকে ভিডিওটি ভাইরাল করেছেন তারা সরাসরি আওয়ামী লীগ সভাপতি ফরিদের মদদপুষ্ট হয়ে ওই কাজ করছেন বলে অভিযোগ তার।

তিনি বলেন, রাজনীতির বাইরেও আমি একজন সাংস্কৃতিক পৃষ্ঠপোষক ও অনুরাগী। প্রতি বছর শারদীয় দূর্গা উৎসবে আমি নানা সামাজিক নাটক মঞ্চায়ন করার ব্যবস্থা করি।এটি সকলেরই জানা। এবারো পূজা সামনে রেখে একটি নাটক মঞ্চায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নাটকটির নাম ‘ঢাকার অসুখ- ডাক্তার চাই’। নাটকটিতে আমারও একটি চরিত্র রয়েছে।

ঘটনার দিন আমি আমার কার্যালয়ের পাশের রুমে নাটকটির পরিচালক সাইফ বাপ্পী ও এক অভিনেত্রীর সঙ্গে নাটকের রিহার্সেল করছিলাম। ঠিক তখনই ওই নারী তার স্বামীসহ সেখানে উপস্থিত হন। তারপর কিছুক্ষণ অবস্থান করে আমাদের রিহার্সেল দেখতে থাকেন। তারপর আমার সঙ্গে জরুরি কথা আছে বলে সবাইকে পাশের রুমে যেতে বলেন। সবাই অন্যরুমে যাওয়ার পর সে আমার সঙ্গে একটু অভিনয় করবে বলে আবদার করে। এবং তার স্বামীকে নিয়ে বাইরে চলে আসে। কিছুক্ষণ পর আবার এসে আমাকে আমার সাথে রিহার্সেল করতে চায় এবং আমি সরল মনে রাজি হয়ে নাটকের একটি দৃশ্য অভিনয় করি। আর অভিযোগকারী নারী এই সুযোগে গোপন ক্যামেরায় তা ধারন করে নানা প্রযুক্তি ব্যবহার করে এডিটিং করে বিষয়টিকে বাজেভাবে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল করে। আমাকে রাজনীতি থেকে বিতারিত করতে পারলে ফরিদ গংদের অবৈধ কর্মকাণ্ড পুনরায় শুরু করতে পারবে বিধায় অভিযোগকারীকে মোটা অংকের টাকা আর নানা সুযোগ সুবিধার প্রলোভন দেখিয়ে তারা এই ভাইরাল করার কাজটি করে।

অতীতেও বহুবার তারা আমাকে এমন বিব্রতকর ও সম্মানহানিকর পরিস্থিতিতে ফেলেছিল কিন্তু প্রতিবারই আমি আমার দৃঢ় মনোবল ও জনগণের দোয়ায় সকল প্রতিকূলতা জয় করেছি। এবারো তাদের এই ষড়যন্ত্র থেকে আইনি মোকাবিলার মাধ্যমে বেরিয়ে আসব।

ঢাকার সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন চিত্ত রঞ্জন দাস দাবি করেন, আমার বিরুদ্ধে যে নারীটি শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছেন। তার শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের শত্রুতা। এটি ব্যক্তিগত কোনো শত্রুতা নয়। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঐতিহ্যবাহী মন্দির শ্রী শ্রী বরদেশ্বরী কালিমাতা মন্দির ও মহাশ্মশানের জায়গা অন্যায়ভাবে অবৈধ দখল করে রেখেছিল অভিযোগকারী নারীর শ্বশুরবাড়ির পরিবারের কয়েকজন সদস্য।

তিনি বলেন, বর্তমানে যে ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে তারা আমাকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাইছে তার ছক তারা বহুদিন আগে থেকে এঁকেছেন। এর পিছনে সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশ্রাফুজ্জামান ফরিদ এর সরাসরি মদদপুষ্ট হয়ে করছেন। ফরিদ অতি অল্প সময়ে ক্যাসিনো কাণ্ড, মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও রাজনৈতিক শক্তির অপব্যবহার করে অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। গত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলীয় মনোয়ন বঞ্চিত হবার পর থেকেই আমার পেছনে নানা ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে থাকে। এছাড়াও আমি কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই ফরিদ, তার ভাই মুরাদ ও ভাগ্নে শাওনের মাদক ব্যবসাসহ সকল অপকর্ম বন্ধে জোরালো ভূমিকা রাখি। তার জেরেই তারা অভিযোগকারী এই পান্নাকে আমার পেছনে লেলিয়ে দেয় বলে আমি নিশ্চিত। এটি এই দুই গ্রুপের পূর্ব পরিকল্পনার অংশ।

মামলা প্রসঙ্গে এ আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, অভিযোগকারী নারী ও তার স্বামী অনলাইন সাংবাদিকতা করে বলে দীর্ঘদিন যাবৎ তারা আমার বিভিন্ন মানবিক ও সামাজিক কার্যক্রমের নিউজ কভার করতো এবং নানা সময়ে আমার কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা নিয়ে চলতো বিধায় তাদের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক ছিল।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চিত্ত রঞ্জন দাসের আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস হয়। ফেসবুকে ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর ভুক্তভোগী ওই নারী থানায় চিত্ত রঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

এরপর থেকে আওয়ামী লীগ নেতা চিত্ত রঞ্জন দাসের আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর থেকে দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছেন।

ভিডিওতে দেখা যায়, চিত্ত রঞ্জন দাস একটি কক্ষে ২০-২১ বছর বয়সী এক তরুণীর সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ করছেন। ওই কক্ষের কেউ তা গোপনে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। যা মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায়।

আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকর্মী জানান, এমন নৈতিক স্খলন কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তবে ব্যক্তি চিত্ত রঞ্জন দাসের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের দায় দল নেবে না। এর দায় তাকেই নিতে হবে। চিত্ত রঞ্জন দাসের আগে থেকেই চারিত্রিক ত্রুটি ছিল। যার কাছে একটি মেয়েও নিরাপদ না, তিনি আবার জনগণের সেবক হন কীভাবে তা ভেবে পাই না। এই নৈতিক অবক্ষয় মেনে নেওয়া যায় না।

সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের জামিরুল ইসলাম বলেন, চিত্ত রঞ্জন দাসের মতো একজন দায়িত্বশীল প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ও কাউন্সিলরের কাছ থেকে জনগণ এটা প্রত্যাশা করে না। ভিডিওটি দেখার পর থেকে আমি চরম ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত।

তবে শনিবার চিত্ত রঞ্জন দাস যুগান্তরকে বলেন, এটি কোনো আপত্তিকর ভিডিও নয়। আমি ওই নারীর সঙ্গে নাটকের রিহার্সেল করেছি।

সেরা টিভি/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360