ডেস্ক রিপোর্ট:
খালেদ মোশারফ যখন আহত হয়ে যায় তখন মেজর হায়দার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান সেক্টর কমান্ডার হয়নি। অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সে তো একটা সেক্টরের অধিনায়ক, সেক্টর কমান্ডার না।
বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্থদশ অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। এর আগে স্পিকার চলতি অধিবেশনের সমাপ্তির কথা সংসদকে জানান।
সংসদ নেতা বলেন, জিয়াউর রহমান যেখানে দায়িত্ব ছিল সেখানে সব থেকে বেশি মানুষ মারা গেছে। তিনি একটা সেক্টরের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আর সেখানে ক্যাজুয়ালটি বেশি হয়েছে। তাহলে প্রশ্ন আসে সে কি কাজ করেছে? পাকিস্তানিদের পক্ষে যাতে আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা মৃত্যুবরণ করেন সেই ব্যবস্থা করেছেন কিনা? সেটাই আমার প্রশ্ন। সে তো একটা সেক্টরের অধিনায়ক সেক্টর কমান্ডার না।
তিনি বলেন, কর্নেল আসলাম বেগ ঢাকায় দায়িত্বরত ছিল। পরবর্তীতে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান হয়েছিল সেই কর্নেল আসলাম বেগ জিয়াকে একটা চিঠি দেয় মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ১৯৭১ সালে। সেই চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন আপনি ভালো কাজ করছেন আমরা সন্তুষ্ট আপনার স্ত্রী-পুত্রদের নিয়ে চিন্তা করবেন না। আপনাকে ভবিষ্যতে আরও কাজ দেওয়া হবে। চিঠিটা আমার কাছে আছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে (জিয়াউর রহমান) নিজের হাতে পাকিস্তানি সেনাদের গুলি করতে যায়নি। সে আমাদের নিজেদের লোকদের ঝুঁকিতে ফেলেছে। যা মেজর হাফিজের বইতেই আছে।
তিনি আরও বলেন, জিয়ার কবর নিয়ে কথা উঠছে আমি এটা নিয়ে আর কিছু বলতে চাই না। জিয়ার মৃত্যুর পর তার লাশ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সাজিয়ে গুছিয়ে একখানা বাক্স নিয়ে এসে, দেখানো হলো তখন এই পার্লামেন্টে বারবার প্রশ্ন এসেছে যদি লাশ পাওয়া যায় তাহলে ছবি থাকবে না কেন? পোস্টমর্টেম সেটাও বানায় দেওয়া হয়েছিল। শনাক্ত করেছিল মীর শওকত। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি তাকে চিনতাম তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম সত্যি করে বলেন তো জিয়ার লাশ ছিল কিনা, সে বলে কোথায় পাবো। এমনকি জেনারেল এরশাদ তাকে আমি বললাম মৃত্যুর কিছুদিন আগেও তার সাথে কথা হয় তাকে আমি বললাম আপনারা যে বাক্স আনলেন লাশ পেলেন কোথায়? আমাকে বলল বুবু লাশ পাব কোথায়?
সেরা টিভি/আকিব