স্টাফ রিপোর্টার:
দক্ষিণাঞ্চলে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। বড় ধরণের অবকাঠামো উন্নয়ন, পোর্ট, শিল্পায়ন, কারখানা, বিশ্ববিদ্যালয়, সেনানিবাস, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজসহ দক্ষিণাঞ্চলে ধারাবাহিক উন্নয়নের দক্ষিণাঞ্চলে ছোঁয়া লেগেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা এসেছে আমূল-পরিবর্তন। গড়ে উঠছে শিল্প কারখানা আর কর্মসংস্থান। পাশাপাশি সারা দেশের সাথে গড়ে উঠবে ব্যবসায়িক সর্ম্পক।
সর্বদক্ষিণের কুয়াকাটার সাথে সড়ক পথে ঢাকা অঞ্চলের ফেরিবিহীন যোগাযোগ ব্যবস্থার মেলবন্ধন সৃষ্টি করবে পায়রা সেতু। চলতি বছরের অক্টোবর মাসেই উদ্ধোধনের পর এই সেতুর ওপর দিয়ে চলবে গোটা দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নের চাকা। যা বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের একটি নতুন উন্নয়নের মাইলফলক ।
পায়রা সেতু নির্মাণ প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা-বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের লেবুখালীর পায়রা নদীর ওপরে সেতুর ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করেন।
এরপর ২০১৬ সালের ২৪ জুলাই মাসে পায়রা সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সেতু প্রকল্পের কার্যাদেশে নির্মাণ কাজের জন্য ৩৩ মাস সময় বেঁধে দেওয়া হলেও দুই দফায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। তবে তার আগেই আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যে সেতু চালু করতে তৎপরতা চালাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
১ হাজার ৪৭০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৯.৭৬ মিটার প্রস্থের সেতুটিতে দুইটি অ্যাবাটমেন্ট, ৩১টি পিলার, ২০০ মিটার করে দুটি স্প্যান ও নদীর তলদেশে ১৩০ মিটার দীর্ঘ পাইল বসানো, সেতুর উপরিভাগের পিচ ঢালাই, ১৬৫টি পোস্টের সোলার দ্বারা লাইটিং সিস্টেম লাগিয়ে চালু করা সহ মূল সেতুর কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
তবে ১ হাজার ২৬৮ মিটার অ্যাপ্রোচ সড়ক, টোল প্লাজা, প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ, ইলেকট্রিফিকেশনসহ ফোরলেন সহ এই সেতুর ৯৯ ভাগ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা সম্ভাব্য নির্মাণ ব্যয়ে পায়রা সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে চট্টগ্রামের তৃতীয় কর্ণফুলী সেতুর আদলে নান্দনিক নকশায়। যা বরিশাল তথা গোটা দক্ষিণাঞ্চলে সবচেয়ে আকর্ষণীয় সেতু।
পর্যটন করপোরেশন ও স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল বিভাগজুড়ে পর্যটন শিল্পে ব্যাপক সম্ভবনা রয়েছে। বিশেষ করে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা, পায়রা সমুদ্রবন্দর ও তার পার্শ্ববর্তী গঙ্গামতী, কাউয়ারচর, বরিশালসহ পদ্মার পাড় এলাকা। এসব বানিজ্যিক জোনে এলাকায় গড়ে উঠছে শিল্প কারখানাসহ নানা ধরনের উন্নয়নমূখী প্রতিষ্ঠান।
স্থানীয় জনসাধারণ ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, দক্ষিণাঞ্চল সব সময়ই অবহেলিত ছিল। এখন পদ্মা ও পায়রা সেতু পুরোপুরি চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসার ঘটবে। এই দুটি সেতু ঘিরেই গড়ে উঠছে হোটেল-মোটেলসহ বহু ছোট-বড় শিল্পায়ন-কল-কারখানা।
সেরা টিভি/আকিব