বিনোদন ডেস্ক:
ক্ষণজন্মা তিনি। মৃত্যুই তাকে যেনো দিয়ে গেছে অমরত্ব। ২৫ বছর হয় তিনি নেই। অথচ তার না থাকাটাই ঢাকাই সিনেমার দর্শকদের কাছে অমর করে রেখেছে তাকে। করেছে কালজয়ী নায়ক, স্টাইলিশ আইকন। তিনি সালমান শাহ। বেঁচে থাকলে এই দিনে ৫০ বছরে পা রাখতেন তিনি।
তিনি নেই তবুও বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের রোমান্টিক যুবরাজ আজও বেঁচে আছেন দর্শকের মনোজগতে। জেগে আছেন তরুণ-তরুণীর তর্কে, স্মৃতিচারণায়। সবার মুখে প্রায়ই শোনা যায়- ‘সালমান শাহর মতো নায়ক চলচ্চিত্রে আর কেউ এলো না!’ কী এমন রসসম্ভার ছিল সালমান শাহর অভিনয়ে?
১৯৭১ সালের আজকের দিনে সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার প্রকৃত নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। বাবা কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মা নীলা চৌধুরী। ব্যক্তিগত জীবনে সালমান শাহ সামিরার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
ঢাকাই চলচ্চিত্রে সালমান শাহর পথচলা শুরু প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের হাত ধরে। চিত্রনায়ক আলমগীরের প্রাক্তন স্ত্রী খোশনুরের মাধ্যমে ইমন নামে একটি ছেলের সন্ধান পান এই নির্মাতা। প্রথম দেখাতেই ইমনকে পছন্দ করে ফেলেন পরিচালক। তারপর তাকে নিয়ে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমাটি নির্মাণ করেন। ইমন নাম পরিবর্তন করে সালমান শাহ্ হিসেবে চলচ্চিত্রাঙ্গনে আত্মপ্রকাশ করেন।
প্রথম সিনেমা মুক্তির পরই জনপ্রিয়তার তুঙ্গে চলে যান সালমান শাহ। বেশ কিছু টিভি নাটকে অভিনয় করলেও চলচ্চিত্রে তার অভিনয় নৈপুণ্যতা আর নিজস্বতা দিয়ে দর্শক হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন প্রয়াত এই অভিনেতা। তার অভিনীত সিনেমা হলো- ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’, ‘তুমি আমার’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘সুজন সখী’, ‘বিক্ষোভ’, ‘স্নেহ’, ‘প্রেম যুদ্ধ’, ‘দেন মোহর’, ‘কন্যাদান’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’,‘আঞ্জুমান’, ‘মহা মিলন’, ‘আশা ভালোবাসা’, ‘বিচার হবে’, ‘এই ঘর এই সংসার’, ‘প্রিয়জন’, ‘তোমাকে চাই’, ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, ‘সত্যের মৃত্যু নেই’, ‘জীবন সংসার’, ‘মায়ের অধিকার’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘প্রেম পিয়াসী’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘শুধু তুমি’, ‘আনন্দ অশ্রু’ ও ‘বুকের ভিতর আগুন’।
সেরা টিভি/আকিব