স্টাফ রিপোর্টার:
আইনমন্ত্রীর আনিসুল হক-এর ব্যক্তিগত জীবনের গল্প শুনে অনেকের চোখে ভিজবে। সব সময় হাস্যোজ্জ্বল থাকা মানুষটির পেছনে লুকিয়ে আছে মর্মান্তিক ঘটনা। যা অনেকের অজানা।
দেশের বেসরকারি টেলিভশনের মন্ত্রী সাহেব অনুষ্ঠানে এসে আইনমন্ত্রী জীবনের পেছনের সেই মর্মান্তিক ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে নিজের চোখ যেমন ভিজিয়েছেন তেমনি চোখ ভিজেছে শ্রোতাদের।
আইনমন্ত্রীর বিয়ের ৩ বছরেই মর্মান্তিক কার দুর্ঘটনায় নিজের স্ত্রীকে হারিয়েছেন, এরপরে আর বিয়ে করেননি। নেই কোনো সন্তানও। কিভাবে মারা গেলেন স্ত্রী, আর কেনইবা বিয়ে করেননি। সেই সব কথা অকপটে জানিয়েছেন টেলিভিশন পর্দায়। দর্শকেরা অনুষ্ঠান দেখে, মন্ত্রীর কথা শুনে বাকরুদ্ধ হয়েছেন, এমন কষ্টে আড়াল করে বুকে বয়ে চলেছেন আনিসুল হক।
ওই অনুষ্ঠানে উপস্থাপক বলছেন আপনি আইনমন্ত্রী সব কথা জিজ্ঞেস করতেও ভয় লাগে তারপরেও আপনাকে একদম ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কিছু বলতে চান, আপনাকে আমি নিজে থেকে কোনো প্রশ্ন করবো না।
এসময় আনিসুল হক বলেন, আপনি প্রশ্ন করেন কি জানতে চান, আমি বলে দিচ্ছি। ফলে স্বাভাবিকতা বজায় রেখেই নারী উপস্থাপক বলেন, আপনার পারিবারিক জীবন সম্পর্কে জানতে চাই। আমরা কিছুটা জানি, আপনি এরেচেয়ে বেশি জানেন-
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক কিছুটা উদাস হলেন। মঞ্চে থেকেই দৃষ্টি কিছুটা উদাস হয়ে যায়। ওপরের দিকে তাকালেন, যেন আসলে তিনি সময়ের দিকে তাকালেন, এবং সময় তাকে গ্রহণ করে স্বভাবত তথ্য সরবরাহ করতে শুরু করলো। আইনমন্ত্রী বললেন, আমি ১৯৮৭ সালের ডিসেম্বরের ১৮ তারিখে বিয়ে করি। ১৯৯১ সালের ১ জানুয়ারি কার অ্যাকসিডেন্ট হয়। ২ জানুয়ারি ১৯৯১ সালে ২টা ৪৫ মিনিটে আমার স্ত্রী ইন্তেকাল করে।
আনিসুল হক স্ত্রী বিয়োগের পর আর বিয়ে করেননি। বারবার রুদ্ধ হয়ে আসা কণ্ঠে আইনমন্ত্রী বলেন, এরপরে বিবাহ, বিবাহ করিনি এটা ঠিক। আমাদের কোনো সন্তান নাই সেটাও ঠিক। আমি তিন বছর ১৪ দিন বিবাহিত ছিলাম, আর এখন বিপত্নীক।
এরপরে উপস্থাপক জিজ্ঞেস করেন, আপনার কাছে জীবন মানে কী? আবেগ মিশ্রিত কণ্ঠে আনিসুল হক জবাব দেন, জীবন মানে কিছু করে বেঁচে থাকা। স্ত্রীর প্রতি যে গভীর ভালোবাসা তা নেটিজেনদের ছুঁয়ে গেছে।
সেরা টিভি/আকিব