স্টাফ রিপোর্টার:
রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে উখিয়া থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১লা অক্টোবর) তাকে গ্রেপ্তার করে এপিবিএন সদস্যরা। তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির নাম পরিচয় জানায়নি পুলিশ। এর আগে, মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় তার ভাই মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার রাতে মামলা করেন।
এ দিকে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর বুধবার রাতেই শরণার্থী শিবিরের মোড়ে মোড়ে অবস্থান নেয় এপিবিএনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। যেখানে মুহিবুল্লাহ খুন হন, সেই লম্বাশিয়াসহ আশপাশের রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে বিরাজ করছে থমথমে পরিস্থিতি।
এদিকে, রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ। হত্যায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এক বিবৃতিতে জানান, বিশ্বজুড়ে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষায় মুহিবুল্লাহ এক সাহসি ও শক্তিশালী প্রতিনিধি ছিলেন। দ্রুত ও স্বচ্ছ তদন্তের মাধ্যমে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিতে জোরালো আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে, বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ে মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ ওরফে মাস্টার মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। জানা যায়, বুধবার রাতে উখিয়ার লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন মুহিবুল্লাহ। এ সময় মুখে গামছা পরা একদল দুর্বৃত্ত তাকে লক্ষ্য করে পর পর পাঁচটি গুলি করে। মাস্টার মুহিবুল্লাহর শরীরে তিনটি গুলি লাগে। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
মাস্টার মুহিবুল্লাহ আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি পিস ফর হিউম্যান রাইটস-এর চেয়ারম্যান। তিনি উখিয়ার ওয়ান-ইস্ট লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৭ ব্লকের বাসিন্দা। ২০১৯ সালের ২২ আগস্ট রোহিঙ্গা শিবিরে মহাসমাবেশ করে আলোচনায় আসেন মুহিবুল্লাহ।
সেরা টিভি/আকিব