সকালে তাঁর মরদেহ নেয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। এসময় একে একে শ্রদ্ধা জানান, নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। এসময় তার সহকর্মী, বিশিষ্টজনেরা বলেন, ইনামুল হকের এই চলে যাওয়ায় নাট্যাঙ্গনে আরো শূন্যতার সৃষ্টি হলো। এমন এক নাট্যকার ও অভিনেতার চলে যাওয়া সংস্কৃতি অঙ্গনের জন্য বিরাট শূণ্যতা বলে মন্তব্য করে অনেকে।
শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসে তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ বলেন, শিক্ষকতার পাশাপাশি ইনামুল হক আমাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে সমৃদ্ধ করে গেছেন, বহু কালজয়ী নাটকের স্রষ্টা তিনি, বহু কালজয়ী নাটকে তিনি অভিনয় করেছেন। একইসঙ্গে চলচ্চিত্রও নির্মাণ করেছেন। তার মতো এমন একজন গুণী মানুষের হঠাৎ প্রস্থান, সত্যিকার অর্থেই এটি জাতির জন্য বেদনার, আমাদের সবার জন্য বেদনার।
এরপর বেলা ১২টার দিকে ইনামুল হকের মরদেহ নেয়া হয় চিরচেনা কর্মস্থল বুয়েট চত্বরে। সেখানেও শ্রদ্ধা জানান সহকর্মীরা। সেখানকার মাঠে নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়। এরপর বাদ জোহর তাকে বনানী কবরস্থানে চতুর্থ নামাজে জানাজা শেষে দাফন করা হয়।
সোমবার বিকেলে বেইলি রোডের বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ৭৮ বছর বয়সে থেমে যায় বরেণ্য এই নাট্যকারের পথচলা।