অনলাইন ডেস্ক:
সব ধরনের নিত্যপণ্যই বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। সেই ধারাবাহিকতায় ব্রয়লার মুরগির দাম এক দিনের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ১৫ টাকা। ডিমের দামও ঊর্ধ্বমুখী। প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকা দরে। বেড়েছে রান্নার পাতিলের দামও। এর ফলে বেশি কষ্টে পড়েছে নিম্ন আয়ের ও খেটে খাওয়া মানুষ। পরিবারের সদস্যদের মুখে এক বেলা খাবার জোগাড় করে দেওয়াই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে সংসারের কর্তাব্যক্তির। সেখানে প্রতিনিয়ত নিত্যপন্যের দাম বাড়ায় বিপাকে পরছে সাধারণ মানুষ।
শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, নয়াবাজার ও মালিবাগ কাঁচাবাজার ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাজারে এক দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে পাঁচ টাকা কমে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন করে আরেক দফা বেড়েছে আদা-রসুন ও সবজির দাম।
গত সপ্তাহের মতো চাল-ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, আটা-ময়দা চড়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৯০ টাকায়। একদিন আগেও ছিল ১৭৫ টাকা। লেয়ার মুরগি ২৫০-২৭০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৬০ টাকা, পাকিস্তানি কক ৩৪০-৩৫০ এবং দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৬৫০ টাকায়।
অন্যদিকে রান্নার জন্য দরকারি উপকরণ পাতিলের দামও বেড়েছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের বিক্রেতা নূরে আলম বলেন, ছোট আকারের একটি পাতিল এক মাস আগে ২০০ টাকায় বিক্রি করেছি। কিন্তু এখন ২৬০-২৭০ টাকায় বিক্রি করছি। পাশাপাশি মাঝারি আকারের পাতিল ৪০০ টাকায় বিক্রি করতাম, এখন ৫০০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। এছাড়া বড় আকারের পাতিলের দাম ৬৫০-৭০০ টাকা ছিল, যা এখন ৭০০-৮০০ টাকায় বিক্রি করছি।
একই বাজারে গৃহস্থালি পণ্য কিনতে আসা সাইদুর রহমান বলেন, বিক্রেতাদের ফন্দি দেখে মন খারাপ হলেও হাসি পাচ্ছে। কারণ, মনে হচ্ছে তারা একত্রিত হয়ে খাদ্যপণ্যসহ সব পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে।
সেরা টিভি/আকিব