শেখ হাসিনা বলেন, মিয়ানমার থেকে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসার পর ইতোমধ্যে তিন বছর অতিবাহিত হয়েছে এবং তারা এখন বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোহিঙ্গারা কক্সবাজারে পরিবেশ ও বন সম্পদ ধ্বংস করছে। রোহিঙ্গা ও আটকেপড়া পকিস্তানিদের বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য চাপ হিসেবেও উল্লেখ করেন তিনি।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন।
ইহসানুল করিম জানান, রোহিঙ্গাদের বিষয়ে নেদারল্যান্ডসের দূত বলেন, এ বিষয় নিয়ে উদ্বাস্তু এবং এনজিও কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। তার কাছে মনে হয়েছে, রোহিঙ্গাদেরকে তাদের নিজ ভূমি মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিলে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা এবং যুদ্ধের পর থেকে কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশে বসবাস করছে আটকে পড়া কয়েক লাখ পাকিস্তানি। এরপর ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দমন-নিপীড়নে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। তখন থেকেই বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশে বসবাস করছে। তবে, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরাতে নানা উদ্যোগ নেয়া হলেও তা সাফল্যের মুখ দেখেনি। উল্টো এসব রোহিঙ্গা কক্সবাজার জেলার পরিবেশ ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে। তারা জড়িয়ে পড়ছে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে।
সেরা টিভি/আকিব