স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপির ভ্যানগার্ড হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। ৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন থেকে দাবি আদায়ের সকল আন্দোলনের সম্মুখসারিতে ছিলেন এই ছাত্র সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা। এরই মধ্যে বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়েছে। এর আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে সারাদেশে ছাত্রদলের যোগ্য ও জনপ্রিয় নেতাদের খুঁজে বের করতে সাংগঠনিক টিম গঠন করা হয়। ঢাকা (মেট্রো) বিভাগীয় সাংগঠনিক টিম ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের কমিটি প্রস্তাব করলেও নানা কারণে কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। ছাত্রদলের সুপার ইউনিট গুলোর মধ্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ–ইউনিট ঢাকা কলেজ। সম্প্রতি ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত করে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ।

এর পর হতেই আশায় বুক বাঁধে দীর্ঘদিন ধরে রাজপথ থাকা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা কেন্দ্রীয়/মহানগরের কোনো নেতার আশীর্বাদপুষ্ট কাউকে ঢাকা কলেজের নেতৃত্বে মানতে নারাজ। নেতা-কর্মীরা বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার গ্রেফতার পরবর্তী মুক্তি আন্দোলন হতে শুরু করে রাজপথে সরব ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া নেতাদের মধ্যে হতেই নেতৃত্বের ভার অর্পণ করার দাবি জানিয়েছেন। এক্ষেত্রে তাঁরা রাজপথে তাঁদের কর্মকান্ড বিবেচনায় মামলা, নির্যাতন, ছবি/ভিডিও ফুটেজ বিবেচনার দাবি করেন। আহ্বায়ক হিসেবে আলোচনায় যাদের নাম জানা গেছে তাঁদের মধ্য রাজপথের স্লোগান মাস্টারখ্যাত মোঃ শাহিন রেজা শিশির রয়েছেন আলোচনায়। তিনি একাধিক মামলায় হয়রানি হওয়া ছাড়াও রাজপথে বহুবার আহত হয়েছেন। সর্বশেষ মহানগর বিএনপির নবগঠিত কমিটির জিয়ার মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে শরীরে ২২ টি রাবার বুলেট বিদ্ধ হন। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া গ্রেফতারের পর হতে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাঁর সরব উপস্থিতি সকলের নজর কাড়ে।

১৪৪ ধারা ভেঙেও রাজপথে বেগম জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রথম স্লোগান ধরেন।শিশির রাজপথে তাঁর মেধা,পরিশ্রম ও ত্যাগের অভূতপূর্ব সমন্বয় করে কলেজ ক্যাম্পাসে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করে নিয়েছেন। তিনি বৃহত্তর বরিশাল অঞ্চলের সন্তান। বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। শাহিনুর রহমান শাহিন রয়েছেন আলোচনায়, তিনি আগের কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ পদে ছিলেন। দলের সকল রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সক্রিয় ছিলেন। এছাড়াও হাসিবুল হাসান সজীবের মাঠে শক্ত অবস্থান রয়েছে। আহ্বায়ক হিসেবে হায়াত মাহমুদ জুয়েল রয়েছেন আলোচনায়। সদস্য সচিব হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন দেলোয়ার হোসেন রাসেল,২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় হন তিনি। কলেজে তাঁর ভালো অবস্থান রয়েছে। দলীয় কর্মসূচিতেও তার অংশগ্রহণ রয়েছে।

মামুনুর রহমান মামুনও রয়েছেন আলোচনায়, তিনি বিলুপ্ত কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। অনেক দিন ধরেই রাজনীতিতে রয়েছেন তিনি। তাঁর জনসমর্থন রয়েছে। আলোচনায় রয়েছেন জুলহাস মৃধা, সাংগঠনিক ভাবে দক্ষ জুলহাস মৃধা বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া সদস্য সচিব পদে হাবিবুর রহমান হাবিব, সিরাজ উদ্দিন বাবুর, বোরহানউদ্দিন ইশরাক, শাহাবুদ্দিন ইমনের নাম আলোচনায় রয়েছে। কমিটি প্রসঙ্গে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, ঢাকা কলেজে অতীতে রাজপথের ত্যাগ ও শ্রম বিবেচনায় যোগ্যদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হবে। সিনিয়র সহ-সভাপতি রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ বলেন, ঢাকা কলেজে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা যে দাবি জানিয়েছে তাদের সঙ্গে আমি একমত পোষণ করছি৷ বিএনপির এই দুঃসময়ে অধিকতর যোগ্য ও ত্যাগীদের দিয়েই কমিটি গঠন করা হয়, আবার কমিটির মূল নেতৃত্বে অধিকতর যোগ্যদের তুলনায় কম ত্যাগী ও যোগ্যরাই বাদ পড়েন।