শনিবার দুপুরে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিথিলা জাহান নিপার আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। পরে আদালত সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
এর আগে, তাদের আদালতে উপস্থাপন করা হয়। ইকবালের সঙ্গে গ্রেপ্তার ফয়সাল, হাফিজ ও ইকরামকেও আদালতে হাজির করে পুলিশ।
শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ইকবালকে কুমিল্লা পুলিশ লাইনে এনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে কুমিল্লার নানুয়ার দীঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার কথা স্বীকার করেন ইকবাল হোসেন।
গত বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত এলাকার সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে ইকবালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। খবর পেয়ে রাতেই কুমিল্লা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকারের নেতৃত্বে কুমিল্লা থেকে রওনা দেয় পুলিশের একটি টিম। সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় পবিত্র কোরআন অবমাননার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনায় সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায় মাজার থেকে কোরআন শরিফ নিয়ে পূজামণ্ডপে রেখে আসেন অভিযুক্ত ইকবাল। পরে পূজামণ্ডপ থেকে প্রতিমার গদা নিয়ে ফের মাজারের দিকে ফিরতে দেখা যায় তাকে।
গত ১৩ই অক্টোবর দুর্গাপূজার অষ্টমীর দিন কুমিল্লার নানুয়ার দীঘির পাড়ে পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার কথা জানিয়ে ৯৯৯ কল করেন স্থানীয় ইকরাম হোসেন। ফোন পাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে সাদা পোশাকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিশ। ওই ঘটনায় সরাসরি লাইভ করেন স্থানীয় ফয়েজ আহমেদ। তিনি প্রবাসে ছিলেন এখন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী। ওই সময় ওসি ফোনে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ঘটনা সম্পর্কে জানাতে থাকলে ফয়েজ ওসির পরিচয় লাইভে দেন এবং কোরআন শরীফ অবমাননার প্রতিবাদ জানানোর কথা বলেন। এই ভিডিও বিভিন্ন গ্রুপে শেয়ার হয়।
সেরা টিভি/আকিব