স্টাফ রিপোর্টার:
কাল চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কে নির্মিত পায়রা সেতু। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেতুটি চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় নবদিগন্তের সূচনা হবে। সম্ভাবনার দ্বার খুলে যাবে কুয়াকাটা পর্যটন শিল্পের। বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের পায়রা নদীর ওপর ২০১৬ সালে লেবুখালী পায়রা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের শেষে মূল সেতুর শতভাগ নির্মাণ কাজ শেষ করে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এক হাজার ৪শ’ ৭০ মিটার দীর্ঘ এবং ১৯ দশমিক সাত ছয় মিটার প্রস্থের এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে নদীর মাঝখানে মাত্র একটি পিলার রেখে। এতে স্বাভাবিক থাকবে নদীর প্রবাহ। সেতুর মূল অবকাঠামো ও পিলারের সঙ্গে ক্যাবল যুক্ত করায় এটি পেয়েছে দৃষ্টিনন্দন চেহারা। সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। এতে যৌথভাবে অর্থায়ন করেছে কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভলপমেন্ট, ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট এবং বাংলাদেশ সরকার।
স্থানীয়রা জানান, পায়রা সেতু চালু হলে এ অঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের ভোগান্তি কমে যাবে। থাকবে না কোনো যানজট বা ফেরি পারাপারের ঝামেলা। পায়রা সেতু চালু হলে বরিশাল থেকে কুয়াকাটার পথে থাকবে না ফেরির ভোগান্তি। এর মধ্য দিয়ে স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে দক্ষিণাঞ্চলের লাখ লাখ মানুষের।
পটুয়াখালী চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মহিউদ্দিন আহম্মেদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সেতুটি নির্মাণ করে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জন্য। পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভিপি আব্দুল মন্নান বলেন, পায়রা সমুদ্র বন্দরের কারণেই দেশের বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো বিনিয়োগে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। পটুয়াখালী জেলায় গড়ে উঠছে অর্থনৈতিক জোন। দৃষ্টিনন্দন এই সেতু দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন শত শত মানুষ।
সেরা টিভি/আকিব