নিহতদের স্বজন ও এলাকাবাসী এই হত্যাকাণ্ডের কোনও কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না। এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান তারা। স্থানীয় এক বৃদ্ধ বলেন, নিহত রাজমিস্ত্রি হাবিবুর ভালো লোক ছিলেন। কারো সাথে গণ্ডগোল করতেন না। আরো এক ব্যক্তি জানান, হাবিবের সঙ্গে কারো শত্রুতা ছিল না। এ কাজ করল কে কিছুই বুঝতে পারছি না।
পুলিশ বলছে, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। হত্যাকাণ্ডে একের অধিক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা। খুলনার সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সকালে আমাদের কাছে সংবাদ পৌঁছালে কয়রা থানা পুলিশ ও আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি তিনটি লাশ বাড়ির পাশে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় আছে। তারপর আমরা নিয়ম অনুযায়ী সুরতহাল করি। সুরতহালে রিপোর্টে দেখতে পাই বাবা ও মেয়ের শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে। কোপের চিহ্ন আছে। মহিলার গায়ে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। ধারণা করছি তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হতে পারে। এটি আমাদের কাছে মনে হচ্ছে হত্যাকাণ্ড। একের অধিক লোক এ ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে।
এই ঘটনায় সার্বিক সহায়তার কথা জানান বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার বিভাগীয় সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, এই পরিবারকে সম্পূর্ণভাবে আইনি সহায়তা দেয়া হবে। এখন থেকেই এই মামলাটা আমরা মনিটর করছি। অপরাধীকে শনাক্ত করতে আমরা পুলিশকে সাহায্য করব। মামলার অপরাধীরা যেন সর্বোচ্চ শাস্তি পায় সে ব্যাপারে সহযোগিতা থাকবে সবসময়।
এই ঘটনায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সেই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলামত সংগ্রহের কাজ করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সেরা টিভি/আকিব