সেরা টেক ডেস্ক:
একটি বড় রি-ব্র্যান্ডের অংশ হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের এতদিনের করপোরেট নাম পরিবর্তন করে মেটা করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, এটির পরিসর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বাইরেও ভার্চুয়াল রিয়েলিটির (ভিআর) মতো ক্ষেত্রগুলোতে বাড়িয়েছে। ফলে এখন একটি জায়গায় সবকিছু আরো ভালোভাবে ‘অন্তর্ভুুক্ত’ করা যাবে। তবে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো স্বতন্ত্র প্ল্যাটফরমগুলোর কোনো নাম পরিবর্তন হচ্ছে না। নাম বদলাবে শুধু তাদের মালিকানাধীন মূল কোম্পানির।
বিবিসির এক খবরে বলা হয়েছে, সমপ্রতি ফেসবুকের একজন কর্মচারি চাকরি ছাড়ার পর ঐ কোম্পানি সম্পর্কে বিভিন্ন গোপন তথ্য ফাঁস করে। এরপর একের পর নেতিবাচক খবর প্রকাশ হতে থাকে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই নাম পরিবর্তন করল ফেসবুক। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ এই নতুন নাম ঘোষণা করেন। তিনি মূলত ‘মেটাভার্স’ নামে একটি অনলাইন দুনিয়া তৈরির পরিকল্পনা উন্মোচন করেছেন— যেখানে মানুষ ভার্চুয়াল পরিবেশে ভিআর হেডসেট ব্যবহার করে বিভিন্ন কাজ করার পাশাপাশি, গেইম খেলা এবং যোগাযোগ করতে পারবে।
তিনি বলেন, আমরা যা কিছু করছি এবং ভবিষ্যতে করব, সেটা বিদ্যমান ব্র্যান্ডটি সম্ভবত উপস্থাপন করতে পারছে না, তাই পরিবর্তন দরকার। আমি আশা করি যে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মেটাভার্স কোম্পানি হিসাবে দেখা হবে। আর আমরা সামনে যা তৈরি করতে যাচ্ছি, সেটার ওপর ভিত্তি করেই আমাদের কাজ ও পরিচয় গড়ে উঠবে।
জাকারবার্গ বলেন, আমরা এখন আমাদের ব্যবসাকে দুটি ভিন্ন অংশ হিসেবে দেখছি, একটি অংশ আমাদের অ্যাপস পরিবারের জন্য এবং আরেকটি অংশ ভবিষ্যতের প্ল্যাটফরমে কাজের জন্য। আর এর অংশ হিসেবে আমাদের সময় এসেছে একটি নতুন কোম্পানি ব্র্যান্ড গ্রহণ করা, যাতে আমরা যা কিছু করি, আমরা কে এবং আমরা কী তৈরি করতে চাই—এই বিষয়গুলোকে প্রতিফলিত করে। কোম্পানিটি বৃহস্পতিবার ক্যালিফোর্নিয়ার মেনলো পার্কে তাদের সদর দপ্তরে একটি নতুন সাইনবোর্ড উন্মোচন করে, তার থাম্বস-আপ ‘লাইক’ লোগোটিকে সরিয়ে একটি নিল অসীম আকৃতির লোগো বসিয়েছে।
জাকারবার্গ বলেন, সময়ের সাথে সাথে ব্যবহারকারীদের কোম্পানির অন্যান্য পরিষেবাগুলো ব্যবহারের জন্য আর ফেসবুক ব্যবহার করা লাগবে না। নতুন নামটি সেই বিষয়টি প্রতিফলিত করে। ‘মেটা’ শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ থেকে, যার অর্থ ‘গণ্ডির বাইরে’।
সেরা টিভি/আকিব