স্পোর্টস ডেস্ক:
চলতি টি-টোয়ন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ক্রিকেট দলে কাজের চেয়ে কথাই হয়েছে বেশি। বাছাইপর্বে স্কটল্যান্ডের কাছে হারের পর বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বরাবরের মতো মিডিয়ায় আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন। সিনিয়রদের দোষ দিয়েছিলেন। এরপর মাহমুদউল্লাহ তার পাল্টা জবাব দেন। এরপর আবারও মিডিয়ায় কথা বলেন পাপন। তারপর মুশফিক তো ‘আয়নাবাজি’ দিয়ে সমর্থকদের ক্ষেপিয়ে দিয়েছিলেন। বিশ্বকাপে তাই মাঠের লড়াইয়ের চেয়ে কথার লড়াইটাই বেশি হচ্ছে।
পরিস্থিতি এমন যে, ক্রিকেটারদের পরিবারবর্গও কথার লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছেন। সাকিব আল হাসানের জীবনসঙ্গী শিশির থেকে শুরু করে সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার ভাই মোরসালিন- চলছে কথার লড়াই। এবার মাশরাফি স্বয়ং এই কথার লড়াই বন্ধ করতে বললেন। ইউটিউবের একটি অনুষ্ঠানে এসে সাবেক অধিনায়ক বলেন, আমিও কিন্তু সতীর্থদের সমর্থন দিয়েছি। ইতিবাচক কথা বলেছি। কারণ, দিনশেষে আমি খেলোয়াড়দের সমর্থন দেবই। মূল কথা হচ্ছে, দলের সঙ্গে যারা যুক্ত, তারা যদি কথা বলেন তাহলে সেটা অনেক বড় বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।’
মাশরাফি নাম উল্লেখ না করলেও বোঝা যায়, তিনি বিসিবি সভাপতি এবং দলের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে ইঙ্গিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘২০১৯ বিশ্বকাপের ব্যাপারটাও একই রকম ছিল। বাইরে থেকে অনেক কথা হয়েছে। আমার মনে হয় একটা টুর্নামেন্ট নিয়ে কিছু বলার থাকলে, সেটা টুর্নামেন্টের আগেই বলে দেওয়া উচিত। দল যখন চলে যায়, তখন যত খারাপ কিছুই হোক, ক্রিকেট দলের সংশ্লিষ্ট যাঁরা আছেন, আমি কারোর নাম বলতে চাই না, দলের সংশ্লিষ্ট যাঁরা আছেন, বোর্ডের সংশ্লিষ্ট যাঁরা আছেন, তাদের অবশ্যই টুর্নামেন্টের শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত।’
মাশরাফি আরও বলেন, ‘দল দেশে ফিরলে যে খেলোয়াড় ভালো খেলেনি তাদের তখন বাদ দেওয়া যায়। ক্রিকেট বোর্ডের হাতে তো সে সমাধানটা আছেই। তাদের তো কথা বলার দরকার নেই। আর খেলোয়াড়েরা যদি জবাব দিতে চায়, মাঠে ভালো খেলেই জবাব দিতে হয়। এর বাইরে কোনো দ্বিতীয় সুযোগ নেই। বাইরে সাংবাদিক, দর্শক কে কী বলে না বলে সেটার দাম নেই কোনো। যেমন আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখার পর কোচ বলেছেন, আমাদের বলয়ের বাইরে কে কী বলছে, সেটা তার ভাবার বিষয় নয়। কিন্তু আমার বলার আমি বলেই যাব। কারণ, আমি দেখছি তুমি ফলাফল আনতে পারছ না।’
সেরা টিভি/আকিব