জেনে নেওয়া যাক ঠোঁটের যত্নের সহজ ঘরোয়া উপায় –
# ভ্যাসলিন বা পেট্রোলিয়াম জেলি ত্বককে কোমল করতে সাহায্য করে, ত্বকের শুষ্ক হয়ে যাওয়া থেকে রোধ করে। তাই এই দু’টি জিনিস যদি একসঙ্গে ঠোঁটে ব্যবহার করা হয়, তাহলে তা ঠোঁটের জন্য উপকারীও হবে আবার ঠোঁট ফাটার সমস্যা থেকেও মুক্তি মিলবে।
#মধু খুবই ভালো অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াজাত পদার্থ। তাই মধুও ঠোঁটের জন্য অনেক উপকারী।
# অ্যালোভেরা সবসময়ই ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। অ্যালোভেরা শুষ্ক ঠোঁটকে নমনীয় করতেও সাহায্য করে। রোজ ঠোঁটে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলে ঠোঁটের শুষ্কতাজনিত সমস্যা দূর হয়।
# অলিভ ওয়েল বা জলপাইয়ের তেলও ঠোঁট ফাটার সমস্যা দূর করতে খুবই উপকারী। দিনে ২ বার করে ঠোঁটে জলপাইয়ের তেল ব্যবহার করলে ঠোঁট কোমল এবং নমনীয় থাকে।
# নারিকেল তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ফ্যাটি অ্যাসিড। তাই ঠোঁটকে শুষ্কতার হাত থেকে বাঁচাতে প্রত্যেকদিন ঠোঁটে নারকেল তেল ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যাবে।
#সপ্তাহে কমপক্ষে এক বার নরম টুথব্রাশ বা পাতলা কাপড়ের টুকরো ভিজিয়ে ঠোঁটের উপর আলতো করে ঘষলে ঠোঁটের মৃত কোষ ঝরে যাবে৷
# সূর্যরশ্মিতেও ঠোঁটের খুব ক্ষতি হয়। তাই ঠোঁটে সানস্ক্রিন লাগালে ঠোঁট ভালো থাকে। কিন্তু, সানস্ক্রিনের এসপিএফ মাত্রা যেন ১৫ হয়।
# রাতে ঘুমনোর আগে অবশ্যই ঠোঁটে লিপ বাম দিতে হবে। সারা দিনে প্রতি দু’ঘণ্টা অন্তর লিপবাম ঠোঁটে দিন ৷ বিশেষ করে খাওয়ার পর এবং মুখ পরিষ্কারের পর এটা করতে ভুলবেন না৷
# ঠোঁটে বডি লোশন বা ময়েশ্চারাইজার না দেয়াই ভালো। ঠোঁটের জন্য আলাদা স্ক্রাবার, ক্রিম কিনতে পাওয়া যায়।
অনেকেরই কথায় কথায় দাঁত দিয়ে ঠোঁট কামড়ানোর অভ্যাস থাকে। দাঁত দিয়ে ঠোঁটের কিউটিকলস তুলে ফেলারও বদঅভ্যাস থাকে। তাই সবার আগে এই অভ্যাস ছাড়তে হবে ৷ আর তা নাহলে কোনো যত্নই কাজে লাগবে না।
সেরা টিভি/আকিব