স্টাফ রিপোর্টার:
কোনও আলোচনা ছাড়াই জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে ক্ষুদ্ধ পরিবহণ মালিক সমিতির নেতাকর্মীরা। জ্বলানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে ভাড়া সমন্বয়ের দাবি বাস মালিক-শ্রমিকদের। আর জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির নেতারা।
ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাস-ট্রাক-কাভার্ডভ্যান বন্ধ। তাই রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো অনেকটাই ফাঁকা। পরিবহণ মালিকদের সাথে আলোচনা না করে ডিজেলের দাম বাড়ায় ক্ষুদ্ধ তারা। দাবি, দাম বৃদ্ধির সাথে সাথে যাত্রী ভাড়া সমন্বয়ের। বাস মালিকরা জানান, পূর্বের ভাড়াই এখনও সমন্বয় করা হয়নি। সেখানে আবার নতুন করে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এদিকে, যাত্রী ভাড়া সমন্বয়ের সাথে সাথে মজুরি বাড়ানোর দাবি পরিবহণ শ্রমিকদের। বাস শ্রমিকরা জানান, তাদের যেন নায্য মজুরি দেয়া হয়।
তবে, ভাড়া সমন্বয় নয়, বাড়তি ভাড়া প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যাড মালিক সমিতি।
বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন মজুমদার জানান, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে বাসের ভাড়া সমন্বয়ের সঙ্গে ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের সম্পর্ক নেই। তেলের দাম বৃদ্ধিতে পণ্যবাহী একটি ট্রাকের ঢাকা-চট্টগ্রাম যাতায়াত খরচ বেড়েছে ২২০০ টাকা।
বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রুস্তম আলী খান জানান, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে তাদের সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে কোনও আলোচনা করা হয়নি। এমনকি তেলের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে কোনরকম পূর্বাভাসও দেয়া হয়নি।
এর আগে, বুধবার রাত ১০টার দিকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানান, রাত ১২টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর। সরকারের এই সিদ্ধান্তের পর আজ শুক্রবার সকাল থেকে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরিচালক-মালিকেরা গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন। তাদের সঙ্গে যোগ দেন বাসচালক-মালিকেরা।
যাত্রী পরিবহণ বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। অনেকেই গন্তব্যে যেতে না পেরে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
সেরা টিভি/আকিব