স্টাফ রিপোর্টার:
পুরুষ হয়েও কথা বলতে পারেন নারীকণ্ঠে। আর এই অস্ত্র ব্যবহার করেই কখনো সাজতেন সচিব, কখনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, কখনো বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রধানের স্ত্রী। এরপর অধস্তন কর্মীদের ফোন করে তাৎক্ষণিক বিপদের কথা বলে ধার নেন টাকা।
দিনে পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকা পেলেই বুঁদ হয়ে থাকেন মাদকে। এভাবে প্রতারণার দায়ে দ্বিতীয়বারের মতো ধরা পড়েছেন টাঙ্গাইলের মেহেদী।
বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রধানের তথ্য যোগাড় করে, তার স্ত্রী সেজে অধস্তন কর্মীদের মোবাইল ফোনে নারী কণ্ঠে কল করেন মেহেদী। তাৎক্ষণিক বিপদের কথা বলে ধারের নামে হাতিয়ে নেন টাকা। ভুক্তভোগী একজন বলেন, সে এমন কিছু বলেছে যা আমার অফিসের বসের পরিবারের সঙ্গে মিলে যায়। এরপর আমার কাছে কিছু টাকা চাইলে আমি সেটা দেই।
অভিযোগ পেয়ে সন্দেহভাজন নারীকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে মেহেদীকে পান গোয়েন্দারা। জিজ্ঞাসাবাদে জানান- নারীকণ্ঠে প্রতারণা করাই তার পেশা। দিনে পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকা না পাওয়া পর্যন্ত করতে থাকেন একের পর এক ফোনকল।
একসময় সিলিং মিস্ত্রীর কাজ করতেন মেহেদী। প্রথম প্রথম নারীকন্ঠে কথা বলে বোকা বানাতেন বন্ধুদের। পরে শুরু করেন প্রতারণা।
ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম) যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, কেউ সচিবের বউ পরিচয় দিলেই তার কাছে টাকা পাঠাতে হবে কেন? যাচাই বাছাই না করে এভাবে টাকা দিতে থাকলে বারবার মানুষ প্রতারণার শিকার হবে।
একই অপরাধে দশ মাস কারাগারে থাকার পর জামিনে বেরিয়ে ফের নারীকণ্ঠে প্রতারণা শুরু করেন মেহেদী। পুলিশ বলছে, আইন কঠোর না করলে প্রতারকদের ঠেকানো কঠিন। এ বিষয়ে হারুন অর রশীদ বলেন, আমরা মনে করি প্রতারণার সাথে যারা জড়িত আইনের সংশোধন করে তাদেরকে আরও বেশি দিন জেলে রাখতে পারলে এই প্রবণতাটা কমবে।
সেরা টিভি/আকিব