স্টাফ রিপোর্টার:
মাদক সেবন ও ব্যবসা, শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে জড়ানোর অভিযোগে এ বছর চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের ২৭ সদস্যকে স্থায়ী চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। নিজেদের মধ্যে শুদ্ধি অভিযান শুরুর পর মাদক সেবন ও ব্যবসায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত শুরু করে সদর দপ্তর।আর, সব স্তরের পুলিশ সদস্যদের ডোপ টেস্টের আওতায় আনার পরামর্শ নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের।
২০১৬ সালে নিউমার্কেট মোড় থেকে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হন চাঁন্দগাও থানার সাবেক এএসআই রিদওয়ান। ২০১৮ সালে ইয়াবাসহ তাকে ফের গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। ২০১৮ সালে বাকলিয়া থানার এসআই সাইফ উদ্দিনের বাসা থেকে ১৫ হাজার ইয়াবা ও মাদক বিক্রির ২ লাখ ৩১ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
২০১৯ সালে সিজিএস কলোনি থেকে ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয় এসআই সিদ্দিকুর রহমানকে। সম্প্রতি কুমিল্লা থেকে ১৪ হাজার ইয়াবাসহ আটক করা হয় বাকলিয়া থানার বলীরহাট পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল মুন্সী আজমীর হোসেনকে।
সিএমপিতে গতবছর ডোপ টেস্ট শুরুর পর ৫০ সদস্যকে শাস্তির আওতায় আনা হয়। এর মধ্যে ১০ জনকে চাকরিচ্যুত ও ৪০ জনকে গুরুদণ্ড দেয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার
সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন,‘কিছু আছে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পরা। তার নিজ বাড়িতে অথবা কর্মস্থলে কোন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে করে থাকলে সেটি ফজদারি অপরাধের পাশাপাশি বিভাগীয় মামলা চলে। সেই ভাবেই জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়।’
আর, সব স্তরের পুলিশ সদস্যদের ডোপ টেস্টের আওতায় আনার পরামর্শ দিয়েছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম। তিনি বলেন,‘ভবিষ্যতে এই ধরণের কাজ যেনো না হয়, সেজন্য পুলিশের এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
সেরা টিভি/আকিব