স্টাফ রিপোর্টার:
রাজধানীর বেইলি রোডে বেপরোয়া গতিতে রিকশা দুমড়ে-মুচড়ে দেওয়া সেই প্রাইভেটকারটি কিশোর চালক তাসকিন আহমেদ বা তার পরিবারের নয়। গাড়িটির মালিক ওয়ারি থানার কামাল নামে এক ব্যক্তির। এমনকি দুর্ঘটনার সময় গাড়িটি চালালেও তার নিজের কোনো লাইসেন্স ছিল না। শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মগবাজার এলাকার বাসিন্দা ব্যাংক কর্মকর্তা ফখরুল হাসান তার পাঁচ মাসের শিশুপুত্রকে নিয়ে বের হন। তিনি একটি রিকশা নিয়ে মগবাজার থেকে বেইলি রোড হয়ে রমনা পার্কের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বেইলি রোডে একটি বেপরোয়া গতির প্রাইভেটকার তাদের বহনকারী রিকশাকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে রিকশাচালক আনোয়ার ইসলামসহ গুরুতর আহত হন ব্যাংক কর্মকর্তা ও তার পাঁচ মাসের শিশু পুত্র ইব্রাহিম মোহাম্মদ বীন হাসান।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ঘটনার পর প্রাইভেটকারচালক কিশোর তাসকিন আহমেদ গাড়ি নিয়ে বাসায় ফিরে যান। পরের দিন শনিবার (২০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে তাসকিনের মাকে নিয়ে বাসে করে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলায় তার দাদার বাড়ি চলে যায়। সেখান থেকে আবার চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গায় তার খালার বাড়িতে গিয়ে আত্মগোপনে থাকে। পরে দুই উপজেলার থানা পুলিশের সহতায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনার পর হাতিরঝিল থানার মীরবাগ এলাকায় তাসকিনের বাসা থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। গাড়ির কাগজপত্র চেক করে দেখা গেছে এই গাড়ির মালিক তাসকিন বা তার পরিবারের কেউ না। ওয়ারি এলাকার কামাল নামের এক বাসিন্দা।
তাসকিনের গাড়ি চালানোর লাইসেন্স ছিল কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাসকিন আহমেদের জন্ম ২০০৬ সালে। সে হিসেবে তার বয়স ১৫ বছর। এই বয়সে তার লাইসেন্স থাকার কথা না। সে রাজধানীর একটি স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সেখান থেকে ভর্তি বাতিল করে অন্যত্র ভর্তি হয়েছে বলে জানা গেছে। তার বাবা একজন আইনজীবী বলে আমরা জানতে পেরেছি।
গাড়ি চালানোর সময় তাসকিন মাদকাসক্ত ছিল কি-না জানতে চাইলে বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, তাসকিনকে এখনো আমরা হাতে বুঝে পাইনি। আমাদের একটি টিম তাকে ঢাকায় নিয়ে আসছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিষয়টি জানা যাবে এবং তার ডোপ টেস্ট করা হবে। বিষয়টি রমনা থানা তদন্ত করে আপনাদের জানাতে পারবে। কারণ এই ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে রমনা থানায়।
সেরা টিভি/আকিব