মঙ্গলবার রাতে, নিহত সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ রুমন বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এজাহারে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ২১ জনকে আসামি করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুমিল্লা কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারুল আজীম।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, এলাকায় মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ীরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী কাউন্সিলর সোহেলকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে। ওই সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন মামলার আসামি।
এদিকে, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কুমিল্লা মহানগরের ১৬ নং ওয়ার্ডের সংরাইশ বেলাল মিয়ার বাড়ির সীমানা প্রাচীরের পাশ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ২টি এলজি, একটি পাইপগান, ১২ রাউন্ড গুলি, ৮টি ককটেল, দুইটি কালো পোশাক ও তিনটি স্কুলব্যাগ। নিহত কাউন্সিলর সোহেলের কার্যালয়ে হামলা চালানোর সময় সন্ত্রাসীরা কালো পোশাক পরে ছিলো। ধারণা করা হচ্ছে, উদ্ধার করা অস্ত্র ও কালো পোশাক সোহেল হত্যায় ব্যবহার করা হয়েছে। তবে, পুলিশ বলছে অনুসন্ধান ও পরীক্ষার-নিরীক্ষার পরই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
গেল সোমবার বিকেলে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের নিজ কার্যালয়ে কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে এসে দুর্বৃত্তরা কাউন্সিলরকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে সোহেলসহ আরও পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে পাঁচ ঘণ্টা পর কাউন্সিলর ও তার সহযোগী হরিপদ সাহার মৃত্যু হয়।
কাউন্সিলর সোহেলের মাথায় তিনটি এবং বুকে দু’টি ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আরও বেশ কয়েকটি গুলিবিদ্ধ হয়। আর হরিপদ সাহার বুকে ও পেটে দু’টি গুলি লাগে।
এ ঘটনার পর গতকাল দুপুরে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সোহেলের প্রতিপক্ষ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আমির হোসেন ও তার সহযোগীদের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়।
সেরা টিভি/আকিব