২ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডের ভিডিওটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, কাউন্সিলর কার্যালয় থেকে পশ্চিম দিকে সুজানগর থেকে পাথুরিয়াপাড়া সড়কে মুখোশ পরা দুই যুবক প্রকাশ্যে গুলি চালাচ্ছেন। এসময় আশপাশের সব দোকানপাট বন্ধ ছিল। রাস্তায়ও কাউকে চলাচল করতে দেখা যায়নি। তবে তখন সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে স্থানীয়রা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে উত্তেজিত হয়ে গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে পালিয়ে যায় তারা। এর কিছুক্ষণ পরই স্থানীয়রা বাড়িঘর থেকে বের হয়ে দৌড়ে পূর্ব দিকে কাউন্সিলরের কার্যালয়ের দিকে যান।
এর আগে, গত বুধবার সকালে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এলাকা সোহেল হত্যা মামলার থেকে এজাহারভুক্ত আসামি সুমন মিয়াকে (৩২) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার আগে, মঙ্গলবার রাতে নিহত সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ রুমন বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এজাহারে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ২১ জনকে আসামি করা হয়। মামলার এজাহারে সূত্রে জানা যায়, এলাকায় মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ীরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী কাউন্সিলর সোহেলকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে। ওই সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন মামলার আসামি।
আর মঙ্গলবার বিকেলে কুমিল্লা মহানগরের ১৬ নং ওয়ার্ডের সংরাইশ বেলাল মিয়ার বাড়ির সীমানা প্রাচীরের পাশ থেকে এ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ২টি এলজি, একটি পাইপগান, ১২ রাউন্ড গুলি, ৮টি ককটেল, দুইটি কালো পোশাক ও তিনটি স্কুলব্যাগ।
উল্লেখ্য, গত সোমবার বিকেল ৪টার দিকে ১৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সোহেল পাথুরীয়াপাড়ায় তার কার্যালয়ে বসে কথা বলছিলেন। এসময় মুখোশ পরা একদল দুর্বৃত্ত তার আফিসে ঢুকে তাকে গুলি করে। এতে কাউন্সিলর সোহেল মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। গুলিবিদ্ধ হন হরিপদ সাহা, আওলাদ হোসেন রাজু, মো. জুয়েল ও মো. রাসেল। এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ করতে করতে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাউন্সিলর সোহেল ও হন হরিপদ সাহা মারা যান।
কাউন্সিলর সোহেলের মাথায় তিনটি এবং বুকে দু’টি ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আরও বেশ কয়েকটি গুলিবিদ্ধ হয়। আর হরিপদ সাহার বুকে ও পেটে দু’টি গুলি লাগে।
সেরা টিভি/আকিব