স্টাফ রিপোর্টার:
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি না দিলে সরকার পতনের একদফা আন্দোলনে বাধ্য হবে বিএনপি। যা রূপ নিতে পারে সহিংসতায়। এমন কথাই বলছেন দলটির নেতারা।
২০০৬ থেকে ২০২১ সাল, প্রায় দেড়দশক ধরে ক্ষমতার বাইরে বিএনপি। এই দীর্ঘ সময়ে বহুবার আন্দোলনের ডাক দিলেও তার সুফল ঘরে তুলতে পারেনি দলটি। তবে, এবার চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশ নেয়ার দাবিতে আবারও আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বিএনপি। নানা কর্মসূচি নিয়ে আছে রাজপথেও। যাকে সরকার পতনের একদফা আন্দোলনে রূপ দেয়ার লক্ষ্যেই কাজ করছে দলটি।
অসুস্থ খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেয়ার অনুমতি আদায়ে এমন বার্তাই বিভিন্ন কর্মসূচি থেকে দিচ্ছে বিএনপি। অনুমতি না পেলে ঘোষণা দিয়েছে রাজপথে থাকারও।
বগুড়া জেলা বিএনপির আহবায়ক ও বগুড়া ৬ আসনের সংসদ সদস্য জি এম সিরাজ বলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠাতে হবে। যখন তিনি প্লেনে উঠতে পারবেনা সে সময় কি আপনারা অনুমতি দেবেন? মানবিক কারণে হলেও উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠান।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার প্রশ্নে যে আন্দোলন দানা বাধছে- প্রয়োজনে তা আরও চরম ও সহিংতায়ও রূপ নিতে পারে বলেও জানান বিএনপি নেতারা।
দলটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান বলেন, সরকার যদি এই সময় আর ইতিবাচক না হয় তাহলে এই শেষ সময়ে এসে সরকারের গদিচ্যুতির আন্দোলনে রূপ নিতে পারে। তবে আমরা সব সময় শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে চাই। কিন্তু একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর আন্দোলন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সরকারের এই নেতিবাচকতার কারণে যদি আন্দোলন আরও ব্যাপক হয় তাহলে তার দায় কিন্তু তাদেরকেই নিতে হবে।
দলীয় প্রধানের কোনো ক্ষতির কারণে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি হলে দায় ক্ষমতাসীনদের বলে জানান দলটির আরেক ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব) হাফিজউদ্দিন আহমেদ (বীরবিক্রম)। তিনি বলেন, যদি খালেদা জিয়ার খারাপ কিছু হয়েই যায় তাহলে সরকার এই মৃত্যুর জন্য দায়ী থাকবে। অবধারিতভাবে এই আন্দোলন সরকার পতনের দিকে যাবে এবং বিএনপি নেতারা কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে সরকার পতনের জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে রাজপথে নামবে।
সেরা টিভি/আকিব