পার্বত্য শান্তি চুক্তির দুই যুগ: প্রত্যাশা প্রাপ্তি কতখানি? - Shera TV
  1. [email protected] : akibmahmud :
  2. [email protected] : f@him :
পার্বত্য শান্তি চুক্তির দুই যুগ: প্রত্যাশা প্রাপ্তি কতখানি? - Shera TV
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৭ অপরাহ্ন

পার্বত্য শান্তি চুক্তির দুই যুগ: প্রত্যাশা প্রাপ্তি কতখানি?

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার:

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির ২৪ বছর আজ। চুক্তির অগ্রগতি নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বারবারই সন্তোষ প্রকাশ করে আসছে। তবে অপর পক্ষকে নিয়েই চুক্তি বাস্তবায়ন করতে চায় তারা।

আর চুক্তির আরেক পক্ষ জনসংহতি সমিতি বলছে, চুক্তির মূল বিষয়গুলো বাস্তবায়িত হয়নি বলেই পাহাড়ে এখনও অশান্তি বিরাজ করছে। সরকারকে আরও আন্তরিক হয়ে চুক্তি বাস্তবায়নের আহ্বান তাদের।

রজত জয়ন্তীর পথে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি। সময়টা কম নয়। তবে পরিসংখ্যান ও বাস্তবতা দুই মিলিয়েই চুক্তির অগ্রগতি নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষরকারী দুই পক্ষের মতামত আলাদা। সরকার বলছে, চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে ৪৮টি সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন করা হয়েছে, যা চুক্তির তিনভাগের দুই ভাগ। আর ১৫টি আংশিক বাস্তবায়িত হয়েছে, যা পাঁচভাগের একভাগ। বাকি আট ভাগের একভাগ বা ৯টির বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এ ৯টির মধ্যে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি আইন বাস্তবায়ন। এগুলো হচ্ছে, পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইন এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন। এগুলো বাস্তবায়নের পক্ষে জোরালো অবস্থান রয়েছে পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলো। আর সেখানকার বাঙালিদের আশঙ্কা, আইনগুলো বাস্তবায়িত হলে অথবা সংস্কার না করলে তারা পাহাড়ে অস্তিত্ব হারাবে।

পার্বত্য খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, আমরা অনেক কষ্ট করে এই দেশ স্বাধীন করেছি। সুতরাং দেশের শৃঙ্খলা ধরে রাখার জন্য সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। একটা চুক্তির পরেও পাহাড়ে এতো অস্ত্র এবং বারবার সংঘাত লেগেই চলছে, এগুলো থামছেনা। বরং আরও বেশি হচ্ছে। সুতরাং এই কারণে ভালো কাজ করতে গেলেও সমস্যা হবে।

হিল উইমেন ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি চঞ্চনা চাকমা বলেন, ভূমি কমিশন কার্যকর, আঞ্চলিক পরিষদের আইন কার্যকর এবং জেলা পরিষদের নির্বাচনগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষমতাসীন দলের কেউ আদিবাসী হলেও আদিবাসীদের পক্ষে কথা বলেনা। তাদের দাবি তুলে ধরেনা।

সরকার মনে করে, পার্বত্য ৩ জেলায় জনসংহতি সমিতিসহ ৪টি আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন পাহাড়কে উত্তপ্ত রেখেছে। যদিও জনসংহতি সমিতি এ অভিযোগ নাকচ করে আসছে। এছাড়া পাহাড়ে নাগরিক সুযোগ সুবিধা দেয়া না দেয়ার ক্ষেত্রেও রয়েছে দ্বিমত। তবে সার্বিকভাবে দুই পক্ষই তাদের নিজেদের মতো করে চুক্তি বাস্তবায়নে পরস্পরের সহযোগিতা আশা করছে।

প্রায় ২ যুগের সশস্ত্র সংগ্রাম শেষে ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সরকারের সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে জনসংহতি সমিতি।

সেরা টিভি/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360