স্টাফ রিপোর্টার:
কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে অপহরণ হওয়া আরেক শিক্ষার্থীকে রামু থেকে উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এনিয়ে অপহরণ হওয়া চার শিক্ষার্থীই উদ্ধার হলো।
গতকাল শুক্রবার রাতে উখিয়া উপজেলার সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মিজানুর রহমানকে রামুর পেঁচারদ্বীপ এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। এর আগে একইদিন সন্ধ্যায় টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশে পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে জাহিদুল ইসলাম মামুন ও মিজানুর রহমান নয়ন এবং মোহাম্মদ কায়ছারকে উদ্ধার করে র্যাব ও আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। উদ্ধারকৃত শিক্ষার্থীরা সবাই রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পেঁচারদ্বীপ এলাকার বাসিন্দা।
এদিকে, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এইচ-ব্লকের বাসিন্দা নজির আহাম্মদের ছেলে নুর সালাম (৫০) ও নুর সালামের মেয়ে রনজন বিবি (১৩) এবং একই ক্যাম্পের মোচনী পাড়ার আবুল কাদেরের ছেলে সাদ্দাম মিয়াসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তারা সকলেই অপহরণ ঘটনায় জড়িত মোহাম্মদ ইব্রাহিমের স্বজন বরে জানা গেছে।
আর, অপহরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠা জাহাঙ্গীর আলম ও মোহাম্মদ ইব্রাহিম টেকনাফের ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।
প্রসঙ্গত, গত ৭ই ডিসেম্বর সকালে রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পেঁচারদ্বীপ এলাকা থেকে টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের কথা বলে স্থানীয় চার শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে জাহাঙ্গীর আলম ও মোহাম্মদ ইব্রাহিম নামের দুই রোহিঙ্গা। পরে এসব শিক্ষার্থীদের টেকনাফের ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অজ্ঞাত স্থানে জিম্মি করে মোবাইল ফোনে স্বজনদের কাছ থেকে মুক্তিপণ বাবদ ২০ লাখ টাকা দাবি করে আসছিল অপহরণকারী চক্র।
সেরা টিভি/আকিব