ডেস্ক রিপোর্ট:
আগামী বছরের শুরুতে গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বাড়বে। ভর্তুকি সামাল দিতে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন আর্থিক মুদ্রা ও মুদ্রা বিনিময় হার সংক্রান্ত কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের সদস্যরা। বুধবার এ সংক্রান্ত কমিটির সভায় প্রস্তাবটি উত্থাপন করা হয়। এতে বলা হয়, এ দুটি পণ্যের মূল্য সমন্বয় করা না হলে চলতি অর্থবছরে ভর্তুকির পরিমাণ ৭০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, অর্থ সংকটের কারণে বিপুল অঙ্কের এই ভর্তুকি বহন করা সম্ভব নয়। ফলে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো ছাড়া সরকারের কাছে বিকল্প কোনো পথ নেই। ওই বৈঠকে সুদের ব্যয় ও ভর্তুকির পরিমাণ বৃদ্ধিকে অর্থনীতির জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
পাশাপাশি আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় মূল্যস্ফীতি নিয়ে। তবে রাজস্ব আহরণ ও এডিপি বাস্তবায়ন হার ভালো থাকায় জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ শতাংশ অর্জন হবে-এমনটি প্রত্যাশা করা হয়। বৈঠক সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, বৈঠকে রেমিট্যান্স কমে যাওয়াকে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব হিসাবে দেখা হয়েছে। ফলে রেমিট্যান্স বৃদ্ধিতে বিদ্যমান ভর্তুকির পরিমাণ আরও বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। এছাড়া করোনার কারণে এডিপির অর্থ ব্যয় ২৫ শতাংশ স্থগিত রাখার যে শর্ত ছিল তা প্রত্যাহার করা হয়।
এছাড়া সরকারের ঋণের সুদ হার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে দেখানো হয়, সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানোর পরও সুদ খাতে ব্যয় অনেক বেড়েছে। ফলে সরকারের প্রয়োজনীয় ঋণ ব্যাংক থেকে বেশি এবং সঞ্চয়পত্র খাত থেকে কম নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
দুপুর ২টায় জুম বৈঠক শুরু হয়ে চলে চারটা পর্যন্ত। জানা গেছে, চলতি বাজেটে ভর্তুকি ধরা হয়েছে ৪৮ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু অর্থ বিভাগ হিসাব করে দেখছে এর পরিমাণ আরও বাড়বে। বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে দেশে জ্বালানি তেল, সার, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের ভর্তুকি বেড়ে ৭০ হাজার কোটি টাকার বেশি হবে।
ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলেও আগামীতে দেশের ভেতর এই মূল্য কমানোর কোনো প্রস্তাব করা হয়নি। ভর্তুকির পরিমাণ কমিয়ে আনতে নতুন করে গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। যা আগামী বছরের শুরুতে কার্যকর করতে বলা হয়েছে।
সেরা টিভি/আকিব