সেরা এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক:
এফডিসিতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন চলাকালে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচন কেন্দ্র এলাকা থেকে তাকে টেনেহিঁচড়ে বের করে দিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে ভোটার না হলেও নির্বাচন উপলক্ষে এফডিসিতে এসেছিলেন হিরো আলম। এসময় সাধারণ দর্শকদের নজরে পড়েন তিনি। এক পর্যায়ে দর্শকদের ফটোশুটে আটকা পড়েন তিনি। এরপর পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
হিরো আলম অভিযোগ করে জানান, এফডিসিতে আমার ওপর হামলা হয়েছে। এফডিসি এলাকা পুলিশ আমাকে বের করে দিয়েছে।
ডিউটিরত পুলিশের একাধিক কর্মকর্তারা বলেন, হিরো আলম যে অভিযোগ করেছেন, সেটি ভিত্তিহীন। বিশৃঙ্খলা হচ্ছিল, পুলিশ তা নিয়ন্ত্রণের জন্য চেষ্টা করেছে মাত্র।
সম্প্রতি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনি প্রচারণায় হিরো আলমকে ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়। বিভিন্ন পক্ষ থেকে অভিযোগ ওঠে, সমিতির সদস্য না হয়েও ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের হয়ে নির্বাচনি প্রচার চালাচ্ছেন তিনি।
শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে কয়েকদিন আগে হিরো আলম বলেছিলেন, আমি শিল্পী সমিতির সদস্য নই। তাতে কি। আমি একজন চলচ্চিত্র কর্মী হিসেবে চাই চলচ্চিত্রের শিল্পীরা বাজে লোকদের খপ্পর থেকে মুক্তি পাক। ভালোভাবে কাজ করে বেঁচে থাকুক। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণ প্যানেলের জন্য সবার কাছে ভোট চাইছি। আশা করছি সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে আসবে এই প্যানেল। ইন্ডাস্ট্রি ও শিল্পী সমিতির বর্তমানে যে অবস্থা তাতে করে কাঞ্চন সাহেবের মতো গুণী মানুষকে শিল্পীদের অভিভাবক হিসেবে খুব দরকার। নিপুণ আপার মতো, রিয়াজ ভাইদের মতো মানুষদের দরকার।
এর আগে, শুক্রবার সকাল ৯টায় শুরু হয় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির এই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। বিএফডিসিতে অবস্থিত শিল্পী সমিতির স্টাডি রুমে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে এ ভোটগ্রহণ। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এফডিসিতে নেয়া হয়েছে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এফডিসি গেটে সকাল থেকেই দেখা গেছে মানুষের ভিড়।
নির্বাচনে লড়াই হচ্ছে ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুন ও মিশা সওদাগর-জায়েদ খান প্যানেলের মধ্যে। ৪২৮ জন ভোটার ২১টি পদে তাদের পছন্দের প্রতিনিধি বাছাই করবেন। টান টান উত্তেজনায় ভরা এই নির্বাচনের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে আছে সারা দেশের চলচ্চিত্রপ্রেমীরা।
সেরা টিভি/আকিব