স্টাফ রিপোর্টার:
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই নির্বাচন কমিশন চরমভাবে ব্যর্থ। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিত, তাদের বিচার হওয়া উচিত।
শুক্রবার দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচন কমিশনকে দখল করে নেয় এবং তারা তাদের মত করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের চেষ্টা করে। নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা চলে গেছে, রাজনৈতিক দলগুলোরও আস্থা চলে গেছে। নির্বাচনকালীন সরকারে যদি আওয়ামী লীগ সরকার থাকে তাহলে কখনই সুষ্ঠ নির্বাচন হবে না।
তিনি আরও বলেন, কেয়ারটেকার গভর্মেন্ট এর জন্য আওয়ামী লীগই একসময় তাদের দাবি পেশ করেছিল এবং ১৭৩ দিন হরতাল করেছিল। তারাই আবার যখন দেখেছে কেয়ারটেকার গভর্মেন্ট এর অধীনে নির্বাচন যদি হয়, তাহলে তাদের পক্ষে আর ক্ষমতায় ফিরে আসা সম্ভব হবে না, তখন তারা সংবিধান থেকে তত্ববধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাদ দিয়ে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করেছে।
বিএনপি মহাসচিব জানান, এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এবং একটি নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে। সেই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে যাবতীয় নির্বাচন সংক্রান্ত আইন নিয়মকানুন তৈরি করে একটি নির্বাচন দিতে হবে। তখনই শুধুমাত্র এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। জাতীয় ঐক্য গঠনে আমরা কাজ করছি, আমরা অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিকভাবে কথা বলছি, এই কথাবার্তা বলার পরে যখন সময় হবে তখন আমরা আপনাদের জানাবো।
মির্জা ফখরুল আরও জানান, সার্চ কমিটিতে যাকে প্রধান করা হয়েছে তিনি নিজে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তার পিতা আওয়ামী লীগের একজন সদস্য ছিলেন। তার ভাই প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব ছিলেন সুতরাং তার কাছ থেকে নিরপেক্ষতা আশা করার কোনও কারণ নেই। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না। তারা দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। আমরা আগেই বলেছি আমরা সার্চ কমিটি মানি না।
এসময় জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক পয়গাম আলীসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সেরা টিভি/আকিব