ডেস্ক রিপোর্ট:
গত এক মাসের চেয়েও বেশি সময় ধরে দেশে নতুন করে করোনা সংক্রমণের হার শুন্যর কোঠায়। জনজীবন স্বাভাবিক হতে চলেছে ধিরে ধিরে। স্বস্তির পরিবেশ ফিরে এলেও মানুষের মন থেকে শঙ্কা পুরোপুরি দূর হয়ে যায়নি। এরই মধ্যে চতুর্থ ঢেউয়ের কথা আলোচনায় এসেছে।
প্রতিবেশি দেশ ভারতসহ এশিয়া, ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কিছু দেশে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞ ও জনস্বাস্থ্যবিদদের কেউ কেউ করোনা মহামারির আরও একটি ঢেউয়ের আশঙ্কা করছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তাঁরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০ এপ্রিলের প্রতিবেদনে ২৪ টি দেশের করোনা সংক্রমনের ২০ শতাংশ ঊর্ধ্বমুখী হারের কথা উল্লেখ করা হয়। ওই সময়ে চীনে সংক্রমন বৃদ্ধি পেয়েছিল শতকরা ২৮ শতাংশ। গতকাল বুধবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) কান্ট্রি ডিরেক্টর নিলি কায়ডোস–ড্যানিয়েলস বলেন, করোনা মহামারির চতুর্থ ঢেউয়ের ঝুঁকি আছে। তবে আগের ঢেউগুলোর তুলনায় তার তীব্রতা কম হতে পারে। বিষয়টি নিয়ে সরকারও চিন্তিত। ইউরোপ ও এশিয়ার কিছু দেশে সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের করনীয় বিষয়গুলো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পরামর্শ চায় করোনাসংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির কাছে। কমিটি ২৪ এপ্রিল সভা করে সরকারকে বলেছে, এখন থেকেই সতর্ক না হলে বাংলাদেশেও সংক্রমণ বাড়তে পারে। সংক্রমণ বেশি, এমন দেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের আন্তর্জাতিক বন্দরে স্বাস্থ্যপরীক্ষা নিশ্চিত করা, ঈদের বাজারে ও ঘরমুখী মানুষের মাস্ক পরা নিশ্চিত করা, ভাইরাসের জেনোম সিকোয়েন্সিং জোরদার করার সুপারিশ করেছে কমিটি। পাশাপাশি রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখারও পরামর্শ দিয়েছে কমিটি।
সেরা টিভি/আকিব