আজ শনিবার সংবাদমাধ্যমকে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির জানিয়েছেন দক্ষিণ আন্দামান সাগরে অবস্থানরত লঘুচাপটি প্রথমে নিম্নচাপ, পরে গভীর নিম্নচাপ থেকে রবিবার নাগাদ রুপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে। এই ঘূর্ণিঝড়টি আসানিতে রুপ নিলে উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের খুলনা, সাতক্ষীরা উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা আছে।
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এটি সুস্পষ্ট লঘুচাপেই আছে। লঘুচাপটি এখন দক্ষিণ আন্দামান সাগরের আশপাশেই অবস্থান করছে এবং সেখানে অবস্থান করেই আরও ঘণীভূত হচ্ছে। এখনো বঙ্গোপসাগরে আসেনি। বিষয়টি সার্বক্ষণিক আমাদের নজরদারিতে আছে।’
তিনি জানান, সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আজ বিকালে নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। এরপর এটি গভীর নিম্নচাপ হয়ে আগামীকাল বিকালে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। আগামী ১০ থেকে ১২ মের মধ্যে উপকূলে আঘাত হানতে পারে এটি। দক্ষিণ আন্দামান ও দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরের যে লঘুচাপ তৈরি হয়েছিল, সেটি যে শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে, তা আগেই জানিয়েছিলেন আবহাওয়াবিদরা। গতকাল শুক্রবার তারা বলেছেন, ওই নিম্নচাপই আরও জলীয় বাষ্প সংগ্রহ করে শক্তি বাড়িয়ে আগামী ৮ মে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশে কতটা প্রভাব ফেলবে বা আদৌ প্রভাব ফেলবে কিনা, তা স্পষ্ট জানায়নি আবহাওয়া অধিদপ্তর। যদিও আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আগামী কয়েকদিন ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।