আজ শনিবার বেলা ১১ টায় নাটোরের বড়াইগ্রামে যাত্রীবাহী দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ভাইবোনসহ অন্তত ৭ জন নিহত ও আরও ৫০ জন আহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনাটি হাটিকুমরুল-বনপাড়া-ঢাকা মহাসড়কের উপজেলার মহিষভাঙা এলাকায় গাজী অটো রাইস মিলের সামনে ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, সকালে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ন্যাশনাল ট্রাভেলসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা সিয়ামপরিবহনের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় ন্যাশনাল ট্রাভেলস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাজী অটো রাইস মিলের সামনে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অপর একটি ট্রাকের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায়। এ সময় ট্রাকটিও উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ছয়জন ও পাশের ক্লিনিকে নেওয়ার পর আরও এক যাত্রী নিহত হন। নিহতরা হলেন, টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারের ভানু প্রামাণিকের ছেলে আব্দুল জলিল (২৫), নাটোর সদরের পাইকোরদোল গ্রামের শাহজাহান আলীর কলেজ পড়ুয়া ছেলে কাওসার আহমেদ (২০) ও তার ছোট বোন সাদিয়া খাতুন (১৩), একই গ্রামের আলমগীর হোসেন (৪৮), চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাসিন্দা ও নাটোর সরকারী এনএস কলেজের দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মশিউর রহমান (৪৫), জেলার লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া গ্রামের রুহুল আমিনের স্ত্রী মোহনা আক্তার মিলি (২৪) এবং মাগুরার মিজানুর রহমান। বাকি দুজনের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
নাটোর হাইওয়ে পুলিশ ও বনপাড়া ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের লাশ উদ্ধার করেন এবং স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার ওসি মশিউর রহমান দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, এ ছাড়া হাসপাতালে আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে।
মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে তিনি জানান।
নাটোর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ,পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, উপজেলা চেয়ারম্যান ডা. সিদ্দিুকর রহমান পাটোয়ারী ও বনপাড়া পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেন এতিমদ্ধেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ সময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতের প্রত্যেকের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে দেয়া হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।