ডেস্ক রিপোর্ট:
মহা দুর্নীতিবাজ পি কে হালদার কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় ভারতে। সেখানে যেয়ে বেনামে গড়ে তোলে অবৈধ সম্পদের পাহাড়। অবশেষে তাকে ধরা পড়তে হয় পশ্চিমবঙ্গে। তাকে ভারতে বিচারের মুখোমুখি হতে হচ্ছে; সাথে চলছে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা। পি কে হালদারের অবৈধ সম্পদের চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
গ্রেপ্তার করা হয় তার তিন বান্ধবীদের। তাদের জবানবন্দিতে মিলছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই তিন নারীকে বিলাসী জীবনে আকৃষ্ট করে তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাত পি কে। বিনিময়ে তাদের কাউকে ফ্ল্যাট, গাড়ি, দামি উপহার ও অর্থ দিয়েছেন। তাদের সবাইকেই তিনি নামে বেনামে গড়ে দিয়েছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড়। অসংখ্যবার নিয়ে গেছেন বিদেশ ভ্রমণে। তাঁর প্রতিষ্ঠানে দিয়েছেন বড় পদের চাকরি। তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যে প্রকারেই হোক, অর্থ লোপাট আর প্রেমিকাদের নিয়ে ভোগ-বিলাসে মত্ত থাকাই ছিল তার নেশা।
কলকাতা লাগোয়া সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের ষষ্ঠ তলায় অবস্থিত ইডির দফতরে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসছে বাংলাদেশী থলের বিড়াল। এসব রাঘববোয়ালের সঙ্গে তার আর্থিক লেনদেনের তথ্যও দিচ্ছেন পি কে হালদার। তদন্দের স্বার্থে এখনও এসব রাঘববোয়ালদের নাম উল্লেখ করে নি ভারতের তদন্তকারী সংস্থা।
একটানা জেরার মুখে এক প্রকার ভেঙে পড়েছেন পি কে হালদার। তবে এখন পর্যন্ত পি কে হালদার তদন্তে সহায়তা করছেন বলেই জানা গেছে।
ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং, পাসপোর্ট আইনসহ একাধিক মামলা করা হয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, ২০১৬ সালের ভারত-বাংলাদেশ প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে বলে খবর।
ভারতীয় এই গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা বলেছেন, পি কে হালদারকে বাংলাদেশে হস্তান্তরের পেছনে দুটি বিষয় রয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো- বাংলাদেশের আর্থিক ইনটেলিজেন্স ইউনিট ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুরোধ, অন্যটি তার বিরুদ্ধে যেসব মামলা রয়েছে সেগুলো বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
সেরা টিভি/আকিব