ডেস্ক রিপোর্ট:
গভীর সমুদ্রে মাছ ধরায় গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর। তবে জেলেদের অভিযোগ হচ্ছে বাংলাদেশি জেলেরা ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ রাখলে ভারতীয় জেলেদের জন্য সুবিধা হয়। তারা ইলিশ শিকার করে আনন্দের সাথে। এর ফলে কতটুকু সফলতা আসবে তা সরকারের ভেবে দেখা উচিত।
দ্বীপ জেলা ভোলার চারপাশটাই মেঘনা-তেঁতুলিয়া এবং সর্বদক্ষিণে রয়েছে বঙ্গোপসাগর। যে কারণে ভোলার জেলেরা সব সময় বিপাকে পড়ে। একবার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া আবার সাগর সব মিলিয়ে প্রায় বছরের বেশির ভাগ সময়ই কোন না কোন সময় অবরোধ বা নিষেধাজ্ঞা থাকে। যদিও এসব কারণে সরকার জেলেদের জন্য হাজার টন চাল দিচ্ছে। জেলেদের অভিযোগ হচ্ছে, সরকারি নিষেধাজ্ঞা আমরা মেনে চলি। তবে সরকার যে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে, তা সঠিকভাবে পাচ্ছি না। সব সময়ই তাতে অনিয়ম হয়। এসব অভিযোগে পত্র-পত্রিকায় কিংবা টিভিতে নিউজ হলেও কোন লাভ হচ্ছে না।
ক্ষোভ প্রকাশ করে দৌলতখান উপজেলার মেঘনাপাড়ের জেলে মো. ইয়াসিন বলেন, আমাদের চাল বিক্রি হচ্ছে খোলা বাজারে। অর্ধেক দিচ্ছে আর বাকি অর্ধেক বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ী যারা আছেন, তারা এসব চাল কিনে নিচ্ছে আর বস্তা পাল্টে বিক্রি করছে।
বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য প্রতি বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন সকল প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক যে কোনো প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়ে থাকে।
বোরহানউদ্দিনের হাকিম উদ্দিন ও চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর এলাকার মো. ইউসুফ, আলী আকবরসহ বেশ কয়েকজন জেলে বলেন, আমরা সাগরে যাব না। কিন্তু ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশের সীমানায় ঢুকে ইলিশ মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে, তা দেখবে কে। তারাতো এখন আরও আনন্দের সাথে মাছ ধরবে। এভাবে চললে সরকার যে কারণেই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, বাস্তবে তা সফল হবে না।
উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১২টার পর থেকে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত সাগরে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে।
সেরা টিভি/আকিব