নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর এক নারী ও তার স্বামীকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত ৬ আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আদালতে তিন আসামি উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক বলে জানান নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান।
আজ সোমবার (৬ জুন) নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এ রায় ঘোষণা দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সুমন, লোকমান, শফিক, সুমন ২, আরিফুল ও জামাল। তাদের মধ্যে সুমন, লোকমান ও শফিক রায় ঘোষণার সময়ে পলাতক ছিলেন।
আদালত পুলিশ পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, ২০০৯ সালের ১১ আগস্ট রূপগঞ্জের কয়েল কারখানার শ্রমিক খাদিজা বেগম কাজ শেষে রাত ৯টায় সহকর্মী আমেনার সঙ্গে বাড়ি ফেরার পথে গাউছিয়া জুটমিলের পেছনে পৌঁছানোর পর খাদিজা তাঁর স্বামী আব্দুর রহমানের সঙ্গে বেবিটেক্সি করে চলে যান। এরপর স্বামী- স্ত্রী নিখোঁজ হন। ১৬ আগস্ট সকাল ১১টার দিকে বোচারবাগ এলাকায় রমিজউদ্দিনের ডোবার পানিতে কচুরিপানার ভেতর খাদিজা ও রহমানের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় খাদিজার বাবা আনোয়ার মিয়া বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে একই বছরের ২৭ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।
তদন্ত প্রতিবেদন বলা হয়, পারিবারিক কলহের জেরে আ. রহমান তার স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ১০ হাজার টাকা চুক্তিতে ভাড়াটে লোক নিয়ে স্ত্রী খাদিজা বেগমকে কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরার পথে তুলে আনা হয়। পরে স্বামী আ. রহমানসহ ভাড়াটে লোক দলবদ্ধভাবে খাদিজা বেগমকে ধর্ষণ করে পাশের একটি ডোবাতে তাকে ডুবিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরে চুক্তির ১০ হাজার টাকা দিতে ব্যর্থ হলে ভাড়াটে খুনিরা ওই রাতেই আ. রহমানকে গলাকেটে হত্যা করে স্ত্রীর পাশেই ডোবাতে ফেলে চলে যান। মামলায় মোট ১৩ স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আজ মামলার ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।
সেরা টিভি/মামুন